দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর চারপাশের চার নদীর তীরে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মধ্যে।

বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো রয়েছে। সেখানে ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার, বনায়ন, তিনটি ইকোপার্ক, ছয়টি পন্টুন, ৪০ কিলোমিটার কি-ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পার্ড ও ৪০৯টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ করা হবে।

এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫ হাজার ২৩৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকার চারপাশে নদীর তীরভূমির প্রায় ১৪৫.১ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিলামের মাধ্যমে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং জরিমানার মাধ্যমে ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৬১২ দশমিক ২২ একর জমি উদ্ধার করেছে। নদীর তীরের সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ৯ হাজার ৫৭৭টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৫৫টি পিলার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিতর্কিত ২ হাজার ১১ টি পিলারের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

সারা দেশের নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমানে সাতটি প্রকল্পের মাধ্যমে নদী খনন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। খাগদোন, বিষখালী, কীর্তনখোলা, যাদুকাটা, রক্তি, রকশোনালা, কর্ণপাড়া খাল, লোহালিয়া, মনু, পিয়ান, আড়িয়াল খাঁ, ইছামতি, তালতলা খাল, পালং, নড়িয়া খাল, পুরাতন দুবালদিয়া, শীতলক্ষ্যা, কালিগঙ্গা, শৈদাহ, মধুমতি, কাচিকাটা খাল, পাড়কোনা, তুরাগ, কুমার, ধলেশ্বরী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, তিতাস, কংস, বাউলাই, সুরমা, মগড়া, পাগলা, বুড়ি, ভোগাই-কংস, নতুন ডাকাতিয়া, বাঁকখালী, ভৈরব, আত্রাই, ভোলা, পালরদি, কর্ণতলী, পদ্মা, মেঘনা, গাবখানখাল, কর্ণফুলী নদীর চ্যানেল, পশুর নদী চ্যানেল, কাজল তেতুলিয়া নদীতে খনন কাজ চলছে বলে সভায় জানানো হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও টাস্কফোর্সের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২,২০১৯)