দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মশা মারতে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ওষুধ চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ‘এডিস মশা ও ডেঙ্গুর কারণে ঘরে ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তা কোনো কাজ করছে না। তাই এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা নতুন কার্যকর ওষুধ চাই।’

বৃহস্পতিবার দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

আদালত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে ওষুধ আনা যাবে আমাদেরকে জানান, আমরা সরকারকে সেভাবে আদেশ দেব।’ এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শুধু সিটি করপোরেশন নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন আদালত।

মশা নির্মূল ও ধ্বংসে বিদেশ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ওষুধ আনার প্রক্রিয়া দুপুর ২টার মধ্যে জানতে চান আদালত।

আদালতে ঢাকা উত্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে আদালতের তলবে হাজির হওয়া ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুনের বক্তব্য শুনেন হাইকোর্ট।

গত ২২ জুলাই আদালতের আদেশ স্বত্ত্বেও এডিস মশা নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরকে তলব করেন হাইকোর্ট।

গত ১৪ জুলাই এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ একই ধরনের অন্যান্য রোগের বিস্তার রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতেও বিবাদীদেরকে বলা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২৫,২০১৯)