মশা নিধনে ঝটিকা অভিযানের প্রতিশ্রুতি দুই সিটির
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মশা নিধনে তিনদিন ঝটিকা অভিযান চালানো হবে বলে হাইকোর্টে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, সারাদেশের মানুষ ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত। ঘরে ঘরে মানুষ আক্রান্ত। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নির্মূলে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ওষুধ আনবেন। কীভাবে আনবেন, সে প্রক্রিয়া বলুন।
একই সঙ্গে বেলা ২টার মধ্যে দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তা জানাতে বলেন।
আদালত বলেন, ঘরে ঘরে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। অনেকে হাসপাতালে যায় না। সবাই হাসপাতালে গেলে এ সংখ্যা আরও বেশি হতো।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য গত ২২ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদেশ অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন। আদালত তাদের বক্তব্য শোনেন।
শুনানিতে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া ছড়াচ্ছে। আফ্রিকার মতো আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা ওষুধ এনেছি। তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।’
আদালত বলেন, ‘আপনারা যখন দেখলেন ওষুধ কাজ করছে না তখন নতুন পদক্ষেপ নেননি কেন? দ্রুত কীভাবে ওষুধ আনা যায় সে ব্যবস্থা নিয়ে বেলা ২টার মধ্যে আমাদের জানান।’
এর আগে মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ১৪ জুলাই হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিবাদীদের জানাতে বলা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফায়রোজ দুই সিটি কর্পোরেশনের পদক্ষেপ সম্পর্কিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। তবে সে প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। এ কার্যক্রমের বিষয়ে জানাতে দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
আইনজীবীর মাধ্যমে হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়ে আদালত বেলা ২টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
আদালতে ঢাকা উত্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২৫,২০১৯)