দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা করেছিল ৩১৪ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে করেছে ২৩৮ রান। দুই দলের পার্থক্যটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে এখানেই। রোববার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৩২ বল হাতে রেখেই (৭ উইকেটের ব্যবধানে)। একই সঙ্গে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করেন, এই ম্যাচে ২৩৮ কেন, ৩০০ রান করলেও হয়তো জিততে পারতো না বাংলাদেশ। নিজেদের বোলিংটাও ছিল খুব দুর্বল। ফলে এই বোলিং দিয়ে বড় স্কোর ডিফেন্ড করাও ছিল কষ্টকর। তারওপর উইকেট ছিল পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। তবুও ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থতার পরিচয় দিল। বড় স্কোরের উইকেটে করতে পারলো কেবল ২৩৮ রান।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এসে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল অকপটে স্বীকার করে নিলেন, নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে পারেননি তারা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা যেভাবে আজ বোলিং করেছি, তাতে মনে হয় ৩০০ রানও যথেষ্ট ছিল না। আমরা দুই ম্যাচেই আমাদের মোমেন্টাম পেয়েছি, কিন্তু আমরা প্রস্তুত ছিলাম না কঠোর পরিশ্রম করে জয় ছিনিয়ে আনতে।’

তবে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩০০ নয়, তামিম ইকবাল আশা করেছিলেন এই উইকেটে অন্তত ২৬০ রান হবে। কিন্তু টস জয়ের সুবিধাটা মোটেও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমি টসের সময়ে বলেছিলাম যে আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে; কিন্তু ৫০ রানে যখন চার উইকেট হারিয়ে ফেলে কেউ, তখন সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। প্রথম দিকে দ্রুত উইকেট হারানোর কারণে আমরা সেটা পারিনি। আমরা যেভাবে বল করেছি, তাতে ৩০০ রানও যথেষ্ট ছিল না। তবে এটি ৩০০ রান করার মতো উইকেট ছিল না; যদিও ২৬০ রান ভালো স্কোর হতে পারতো আমাদের জন্য।’

দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে একাদশে জায়গা পেলেন তাইজুল ইসলাম। কেন তাতে দলে আনা হলো? তামিম ইকবাল জানালেন, উইকেট থেকে বাড়তি টার্ন পেতেই একজন বাড়তি স্পিনার দলভূক্ত করা হয়। তিনি বলেন, ‘টস জেতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আমরা জানতাম যে, উইকেট থেকে স্পিন পাওয়া যাবে পরে। আমরা এ কারণেই একজন বাড়তি স্পিনার দলে নিয়েছিলাম।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২৯,২০১৯)