দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪ কোম্পানির সব পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সংগ্রহ ও বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সব পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সংগ্রহ ও বিপণন বন্ধে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন আমরা সেই আদেশ স্থগিত চেয়ে শিগগিরই আবেদন করব।’

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান সিসা, অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় ১৪ কোম্পানির সব পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সংগ্রহ ও বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। গত ২৮ জুলাই বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

এই ১৪ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্ট লিমিটেড, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড, বাংলাদেশ মিল্ক প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেড, বড়ো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুডস লিমিটেড, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোজেক্ট, ডেনিশ ডেইরি ফার্ম লিমিটেড, ইছামতি ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, ইগলু ডেইরি লিমিটেড, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড, উত্তরবঙ্গ ডেইরি লিমিটেড, শীলাইদহ ডেইরি, পূর্ববাংলা ডেইরি ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজ এবং তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস।

গত ১৪ জুলাই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ল্যাবরেটরি, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (সাভার) ল্যাবরেটরি এবং আইসিডিডিআরবিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সব ল্যাবরেটরিতে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, এসিডিটি, ফরমালিন ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি আছে কি না- তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ওই প্রতিবেদন পৃথক পৃথকভাবে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

আদেশের পর চারটি ল্যাবরেটরিতে দুধের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। তবে আইসিডিডিআরবি ব্যতিত অবশিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে আদালত ১৪ কোম্পানির প্রতিষ্ঠানের পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২৯,২০১৯)