ছিলেন স্কুল শিক্ষক, এখন হাজার কোটি টাকার মালিক
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ছিলেন একজন সাধারণ স্কুল শিক্ষক। বর্তমানে নিজেই জানেন না কত টাকার মালিক তিনি। সেই স্কুল শিক্ষকের নাম বাইজু রবীন্দ্রন।
মাস শেষে হাজার দশেক টাকা বেতন পেতেন যিনি, এখন তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! (টাকায় ৪৮ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা)
এ সম্পত্তি তার কাছে এমনি এসে ধরা দেয়নি অবশ্যই।
সাত বছর আগে ভারতে ‘থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন’ নামে এক কোম্পানি শুরু করেছিলেন বাইজু রবীন্দ্রন। তার সে প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি করা হয় অনলাইন শিক্ষার অ্যাপ - বাইজুস অ্যাপ।
সম্প্রতি বাইজুসের সঙ্গে বিখ্যাত ওয়াল্ট ডিজনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সেই চুক্তিতে তার সেই কম্পানিতে ওয়াল্ট ডিজনি অর্থ দিয়েছে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আর সেই অংকসহ বাইজুর থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন কোম্পানির বর্তমান নিট অ্যাসেট ভ্যালু বা মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের শুরুতেই ডিজনির হাত ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইন শিক্ষার অ্যাপ পরিষেবা চালু করতে চলেছে বাইজুস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেটের ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এর প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রনের হাতে। সে হিসেবে ৩৭ বছর বয়সী রবীন্দ্রন এখন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক। বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় রবীন্দ্রন সাম্প্রতিকতম সংযোজন।
বাইজু রবীন্দ্রনের কম্পানি এবার, ভিডিও, গেম, গল্প ও ক্যুইজের মাধ্যমে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির প়ড়ুয়াদের গণিত ও ইংরেজি শেখাবে। ঘরে বসে মাউসের ক্লিকে এ শিক্ষা অর্জন করতে পারবে শিশুরা।
রবীন্দ্রন বলেন, আমাদের এই নতুন অ্যাপ্লিকেশনে ডিজনির দ্য লায়ন কিংসের সিম্বা থেকে ফ্রোজেনের আনার মতো শিশুদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড চরিত্রগুলো যুক্ত হবে। এসব চরিত্রগুলো প্রথম থেকে তৃয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজি শেখাবে।
কুইজেও এসব জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র ব্যবহার করা হবে জানান রবীন্দ্রন।
বাউজু আরও বলেন, ভারত তথা সারাবিশ্বে অনলাইন শিক্ষার বাজার এখন দিন দিন বাড়ছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে কম দামের স্মার্ট ফোন আর সস্তার ইন্টারনেটের জন্য। এই বাজার আরও প্রসারিত হচ্ছে।
২০১১ সালে থিংক এন্ড লার্নিং নামে একটি সংস্থাটি শুরু করেছিলেন বাইজু রবীন্দ্রন। ২০১৫ সালে তার সে সংস্থায় মূল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেন বাইজু ।
এই প্রতিষ্ঠানটি দেয়ার আগে সাধারণ একটি স্কুলে পড়াতেন বাইজু। পাশাপাশি অনলাইনেও পাঠদানের ভিডিও প্রকাশ করতেন তিনি।
কিন্তু থিংক এন্ড লার্নিং প্রতিষ্ঠানটি খোলার পর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাইজুকে। ব্যবসা শুরুর পর সেটি ৩৫ মিলিয়ন লাভ করে যার মধ্যে প্রায় ২.৪ মিলিয়ন টাকা ওই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বার্ষিক ফি এর মাধ্যমে জোগাড় হয় ।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২৯,২০১৯)