জরিমানা করায় চট্টগ্রাম থেকে ৬৮ রুটে বাস বন্ধ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় জরিমানা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা-বেনাপোলসহ ৬৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি ও পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তারা একযোগে এসব রুটে বাস-চেয়ারকোচসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
খোঁজ নিযে জানা যায়, দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারি পরিবহন সার্ভিসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত গত শনি ও রোববার চারটি বাসকে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করে। এ নিয়ে পরিবহন মালিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।
রোববার সন্ধ্যায় পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পরিবহন মালিকেরা। শ্রমিকেরা মালিকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ফলে ওই বৈঠকে পরিবহন ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সন্ধ্যায যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হলেও রাত ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়। আগে ঘোষণা না দিয়ে অতর্কিত ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। টিকিট কেটেও শত শত যাত্রী আটকে গেছেন।
পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চত করে বলেছেন, ‘সামনে কোরবানির ঈদ। আমরা সরকার নির্ধারিত ভায়ড়ায় যাত্রী পরিবহন করছি। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট যদি প্রতিদিন এসে জরিমানা করে তাহলেতো গাড়ি চালানো যাবে না। এত টাকা দিয়ে গাড়ি চালানোর যুক্তি নেই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সন্ধ্যা থেকে মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তে সব বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছি। সংবাদ সম্মেলন করে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট আহ্বান করেছি। মালিকদের সিদ্ধান্তে শ্রমিক সংগঠনগুলো একাত্মতা জানিয়েছি।’
পরিবহন শ্রমিক নেতা মৃনাল চৌধুরী বলেন, আন্তঃজেলা রুটে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা করে সরকারিভাবে ভাড়া নির্ধারিত আছে। ঈদ-উল ফিতরের সময় অনেক বাস মালিক প্রতিযোগিতার কারণে সরকার নির্ধারিতের চেয়ে কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করেছে। এবার তেমন প্রতিযোগিদা না থাকায় সরকার নির্ধারিত ভাড়া আাদায় করা হচ্ছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আগের কম ভাড়াকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ধরে পরিবহন সার্ভিসগুলোকে গণহারে জরিমানা করছে। গত দুইদিনে চারটি গাড়িকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাই প্রতিবাদে ধর্মঘটে না গিয়ে উপায় ছিলো না। জরিমানা আদায় বন্ধ না হলে গাড়ি চলাচলও বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ০৪,২০১৯)