‘কবিতার হয়ে ওঠা’ বোঝেন পাঠকই!
কবিতা-পাঠক! কেননা কবিতা লিখেই তো কবির দায়িত্ব শেষ! [আদৌ কি শেষ হয়]। কিন্তু পাঠককে তা পড়তে হয়, আত্মস্থ করতে হয়! তাই কবিতা কিংবা অ-কবিতা অথবা ‘কবিতা হয়ে ওঠা’র বিষয়টি সম্যকভাবে যেন বুঝেন পাঠক! অবশ্য পাঠকও কবি হতে পারেন।
এ কথা সত্য; শূন্যতায় কবিতা হয় না, কবিতা হতে হলে মাটি-মানুষ, জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে সম্পর্কিত উপাদান জরুরি, স্বপ্ন-কল্পনার ফানুসও হতে পারে কবিতা! তবে তা জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। ‘কবিতা হয়ে ওঠা’র জন্য তাই জরুরি দেশ-কাল-ঠিকানা।
সাধারণ পাঠক কবিতা পছন্দ করেন না এমন অভিযোগ আজকালকার কবিদের কেউ কেউ করেন। যদি কথাটা এমন হয়; এই সময়ের কবিরা সাধারণ পাঠককে বুঝেন না। আদতে কোন মন্তব্য সত্য; তার সুরাহা অনেকাংশে অসম্ভব। কথার পিঠে কথা সাজানো যাবে, তর্কও বহুদূর নেওয়া যাবে। তাই এ প্রসঙ্গ রেখে বরং চলুন না; মননের কথা, আত্মার কথা, শিল্পিত সময়ের রেখাচিত্রের কথা বলি-যা একজন কবির নিপূণ কারুকার্যে কবিতা হয়ে ওঠতে পারে!
এমনও হতে পারে; যে ঈশ্বর লাভ করে, সে তাঁকে হামেশায় ভুলে যায়! সত্যিকার কবির কাছে কবিতাও তাই! অন্যভাবে বললে কবিতা যেন ঠিক তাই; যেটি হয়ে ওঠে কিংবা কবিতা হওয়ার চেষ্টা করে, যাকে বার বার পড়তে ইচ্ছে করে; দেখতেও! কবিতা হয়ে ওঠলে তা কবির চেয়ে পাঠকের কাছেই যেন বেশি পূজনীয়!
লেখক : সাংবাদিক