ভাড়া দিতে না পারায় রাতভর গণধর্ষণ শেষে ভোরে ছাড়ল ৩ চালক
বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় ভাড়া দিতে না পারায় এক কিশোরী যাত্রীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে তিন লেগুনা চালক।
বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজারে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা ঘটনাটি জানতে পেরে লেগুনার এক চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটক লেগুনা চালক রাজ্জাক বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গাঁওখালী গ্রামের নৌকায় সবজি বিক্রি করে।
স্থানীয়রা জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট এলাকায় খালা বাড়িতে বেড়ানো শেষে মঙ্গলবার বিকেলে নাজিরপুর উপজেলার গাঁওখালী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় ওই কিশোরী।
ওই দিন সন্ধ্যায় পয়সারহাট থেকে ট্রলারে বিশারকান্দি আসে সে। এরপর তার কাছে গাড়ি ভাড়া না থাকায় বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডে চালক রাজ্জাককে মামা ডেকে ভাড়া না থাকার বিষয়টি জানায় কিশোরী। রাজ্জাক বিনাভাড়ায় কিশোরীকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে নামিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাড়িতে তোলে।
কিন্তু কিশোরীকে গন্তব্যে না নামিয়ে বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন চাচাতো ভাই রশিদের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় রাজ্জাক। সেখানে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রাজ্জাক।
রাত ১০টার দিকে জনতা বাজার থেকে অন্য লেগুনার চালক মাসুমের গাড়িতে কিশোরীকে তুলে দেয় রাজ্জাক। মাসুম ওই কিশোরীকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে না নামিয়ে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে আরেক সহযোগী নিয়ে রাতভর কিশোরীকে ধর্ষণ করে তারা।
বুধবার ভোরে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে গাড়ি থেকে কিশোরীকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় মাসুম। এ সময় খেয়াঘাটে কিশোরীকে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন কারণ জানতে চায়। পরে ঘটনার বর্ণনা দেয় কিশোরী।
পরে লেগুনাস্ট্যান্ড থেকে ধর্ষক রাজ্জাককে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসিকে বিষয়টি জানানো হয়। ওসি জানতে পেরে লবণসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সুজিত কুমার বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি গিয়ে ধর্ষক রাজ্জাক ও কিশোরীকে থানায় নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, আটকের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে লেগুনা চালক রাজ্জাক ওই কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষক রাজ্জাককে আটক করা হয়েছে। অপর দুই ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ০৭, ২০১৯)