মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ফের স্থগিত
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আবার স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত হলো।
শনিবার অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ৪৬.৯৩ শতাংশ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ ইয়ামেন পান ২৯.৭৩ শতাংশ ভোট। আর গাসিম ইব্রাহিম ২৩.৭৩ শতাংশ ভোট পান।
মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশ ভোট না পায় তাহলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। রবিবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইয়ামেন আরো প্রচার চালানোর জন্য দেরিতে নির্বাচনের দাবি জানান।
সর্বোচ্চ আদালত আব্দুল্লাহ ইয়ামেনের সঙ্গে একমত হয়ে জানায়, রবিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অনেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে।
এদিকে, ১১ নভেম্বরের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলে পার্লামেন্টের স্পিকারই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন বলে এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু এই আইনি চূড়ান্ত সময়সীমার সত্বেও শনিবার রাতে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
২০১২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এর আগে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দুইদফা স্থগিত হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশটিতে প্রথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ ৪৫ শতাংশ ভোট পান। তাই নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের কাছে প্রথম দফা নির্বাচনে পরাজিত এবং দ্বিতীয় দফায়ও পরাজিত হতে পারেন এমন দুই প্রার্থী শেষ মুহূর্তে ভুয়া ভোটার তালিকা ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করলে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত প্রথম দফা নির্বাচন বাতিল করে দেয়।
সর্বোচ্চ আদালত নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেয় এবং সে নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ১৯ অক্টোবরকে ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ হিসেবে ঘোষণা করে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে পুলিশ তা স্থগিত করে দেয়।
পরে নির্বাচনের প্রার্থীরা গত মাসে সমঝোতায় এসে ভোটার তালিকা অনুমোদন করলে ৯ নভেম্বর পুনরায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি।
(দিরিপোর্ট২৪/কেএন/জেএম/নভেম্বর ১০, ২০১৩)