দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আবারও লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই দুইজনকে ছাড়া যেন ফুটবলের কোনো অংগের বর্ষসেরার পুরস্কারের কল্পনাই করা যায় না। এবারও ইউরোপিয়ান বর্ষসেরার দৌড়ে অবধারিতভাবে সেরা তিনের তালিকায় রয়েছেন মেসি এবং রোনালদো। বাকি ফুটবলারটি হলেন লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক।

বৃহস্পতিবার তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। সেখানে বরাবরের মতই দেখা যাচ্ছে মেসি-রোনালদো রয়েছেনই।

চলতি মাসের শেষের দিকে, তথা এই আগস্টেই (২৯ তারিখ) ফ্রান্সের মোনাকোয় আগামী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র হবে। ওই অনুষ্ঠানেই এই তিন ফুটবলারের মধ্যে একজনের হাতে তুলে দেয়া হবে ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান। কার হাতে এই পুরস্কার যাবে, তা ঠিক হবে উয়েফার সদস্যভুক্ত দেশের কোচ ও সাংবাদিকদের জুরি বোর্ডের মাধ্যমে।

বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি গত মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। শুধু তাই নয়, তার নেতৃত্বে লা লিগা শিরোপাও জিতেছে বার্সা।

অন্যদিকে জুভেন্টাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বে উয়েফা নেশন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। নকআউট স্টেজে রোনালদো নিজেই ছিলেন টপ স্কোরার। একই সঙ্গে জুভেন্টাসের হয়ে সিরি-এ তে অভিষেকেই তিনি শিরোপা জিতেছেন।

ফন ডাইক আবার উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হেরেছিলেন। তবে তার আগে লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতাতে রেখেছিলেন অসাধারণ ভূমিকা। তাকে ফাঁকি দিয়ে লিভারপুলের জালে বল প্রবেশ করাবে এমন সাধ্য ছিল না কারো।

এই তিনজন ছাড়াও উয়েফা সেরা ১০ ফুটবলারের বাকি ৭ জনের নামও ক্রমানুসারে প্রকাশ করেছে। তারা হলেন-

৪. অ্যালিসন বেকার (গোলরক্ষক, ব্রাজিল/লিভারপুল) - ৫৭ পয়েন্ট।
৫. সাদিও মানে (স্ট্রাইকার, সেনেগাল/লিভারপুল) - ৫১ পয়েন্ট।
৬. মোহামেদ সালাহ (স্ট্রাইকার, মিসর/লিভারপুল)- ৪৯ পয়েন্ট।
৭. ইডেন হ্যাজার্ড (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, বেলজিয়াম/চেলসি/রিয়াল মাদ্রিদ) - ৩৮ পয়েন্ট
৮. ম্যাথিস ডি লাইট (ডিফেন্ডার, নেদারল্যান্ডস/আয়াক্স/জুভেন্টাস) - ২৭ পয়েন্ট
৯. ফ্রাঙ্কি ডি জং (মিডফিল্ডার, নেদারল্যান্ডস/আয়াক্স/বার্সেলোনা) - ২৭ পয়েন্ট
১০. রাহিম স্টার্লিং (ফরোয়ার্ড, ইংল্যান্ড/ম্যানসিটি) - ১২ পয়েন্ট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১৬, ২০১৯)