ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে রুপাকে হত্যা করে সম্রাট
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কলেজছাত্রী তানজিনা আক্তার রুপা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তার সৎভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাট তাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা টিপে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, ১০ আগস্ট এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সম্রাট এ হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে রুপার লাশ রাজধানীর মতিঝিলে সিটি সেন্টার ভবনের ১৪ তলা থেকে নিচে ফেলে দেয়।
শুক্রবার দুপুরে মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই এটিকে ধর্ষণের ঘটনা হিসেবে সন্দেহ করেছি। রুপার মরদেহের সুরতহাল এবং যুবায়েরকে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা নিশ্চিত হয়েছি রুপাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ধর্ষণের উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুপাকে সিটি সেন্টার ঘোরানোর কথা বলে নিয়ে আসে তার সৎ ভাই সম্রাট। রুপাকে ধর্ষণ চেষ্টার অনেক আলামতও আমাদের কাছে এসেছে। আমরা এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।’
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন সিটি সেন্টারের বহুতল ভবনের একটি রুমে রুপাকে নিয়ে যায় সম্রাট। সেখানে রুপার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এতে রুপা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। তখন সম্রাট তার গলা টিপে ধরে। এতে এক পর্যায়ে রুপা মারা যায়। এই হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশ ১৪ তলা থেকে নিচে ফেলে দেয় সম্রাট। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও সম্রাট এ তথ্য দিয়েছে।
রুপার মা সালেহা আক্তার বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই সম্রাট দক্ষিণ গোড়ানের বাসায় আসতো। কিন্তু সৎ ভাই হলেও তো ভাই, তাই তেমন গুরুত্ব দিতাম না। রুপার জন্য সম্রাট আমার সঙ্গে কয়েকবার ঝগড়াও করেছে। কিন্তু সম্রাটের সত্যি সত্যি এমন কুচিন্তা থাকবে ভাবতে পারিনি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
রুপা দক্ষিণ গোড়ান আহম্মেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১৬, ২০১৯)