দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: খেলোয়াড়ি জীবনে মাঠে গতিদানব হিসেবেই পরিচিতি ছিল তার। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারির মালিক শোয়েব আখতারই। তার ভয়ংকর বোলিংয়ে কত ব্যাটসম্যান যে চোখে ‘সর্ষে ফুল’ দেখেছেন, তার ইয়ত্তা নেই।

আধুনিক ক্রিকেটে অবশ্য এমন দ্রুতগতির বোলার খুব একটা দেখা যায় না। জোফরা আর্চার যেন মনে করিয়ে দিলেন পাকিস্তানের সেই কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতারকেই। সদ্যই টেস্ট অভিষেক হওয়া ইংলিশ এই পেসার লর্ডসে রীতিমত আগুনে গোলাই ছুঁড়ে যাচ্ছেন। নিয়মিতই তার বলের গতি উঠছে ঘন্টায় ৯০ মাইল, কখনও বা সেটা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৯৬ মাইলও।

এমনই এক ডেলিভারিতে লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিন আর্চার মাটিতে ফেলে দেন স্টিভেন স্মিথকে। অস্ট্রেলিয়া দলের সেরা এই ব্যাটসম্যান কিছু বুঝে উঠার আগেই বল লেগে যায় ঘাড়ে। এত গতির বল মাথার আশেপাশে লাগলে কেমন অনুভূতি হতে পারে, বোঝাই যাচ্ছে।

মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে ‘হিউজ-ট্রাজেডি’ তো বেশিদিন আগের নয়। এমনই এক বাউন্সারে পরপারে পারি জমিয়েছিলেন ফিলিপ হিউজ। স্মিথকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাই প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।

তবে কিছুটা অবাক করেছে জোফরা আর্চারের আচরণ। তারই বলে আঘাত পেলেন স্মিথ। অথচ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের কাছে আসা তো দূরে থাক, উইকেটরক্ষক জস বাটলারের সঙ্গে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাসতে দেখা যায় আর্চারকে। যে ঘটনা দেখে অবাক পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার।

খেলোয়াড়ি জীবনে এভাবে শোয়েবও অনেক ব্যাটসম্যানকে মাটিতে ফেলেছেন। কিন্তু আর্চারের মতো আচরণ কখনই করেননি, মনে করিয়ে দিলেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’খ্যাত সাবেক এই পেসার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে শোয়েব আখতার ইংলিশ পেসার আর্চারের সমালোচনা করে বলেন, ‘বাউন্সার খেলারই অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু যখন একজন বোলার ব্যাটসম্যানের মাথায় আঘাত করবে এবং ব্যাটসম্যান পড়ে যাবে, সৌজন্যতার জন্য হলেও বোলারের সেখানে যাওয়া উচিত। দেখা উচিত ব্যাটসম্যানের কি অবস্থা। স্মিথ যখন ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন, আর্চারকে দেখলাম হেঁটে যাচ্ছে, এটা মোটেই শোভনীয় নয়। এমন অবস্থায় আমিই প্রথম ব্যাটসম্যানের দিকে দৌড়ে যেতাম।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১৮, ২০১৯)