কঠোর গোপনীয়তায় বিএনপির কূটনৈতিক তৎপরতা!
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চেয়ারপার্সনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির প্রধান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে জেবা খান, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়াল, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, মীর হেলাল, ইশতিয়াক আহমেদ, কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুটি তুলে ধরা বৈঠকে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। এছাড়া রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, কাশ্মীর পরিস্থিতি, ত্রিপুরার বিমানবন্দরের জন্য বাংলাদেশের কাছে যে জায়গা চাওয়া হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে- এসব বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়।
বৈঠকের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শামা ওবায়েদ তাদের এ বৈঠককে ‘গতানুগতিক’ বলে দাবি করেছেন।
গতকাল (রোববার) দলের স্থায়ী কমিটির সভায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যাওয়া কথা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য ও তার মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব গণতান্ত্রিক দেশ আছে তাদের অবহিত করব এবং অন্যায়ভাবে দেশনেত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে সে বিষয়টা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে চেয়ারপার্সনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে শামা ওবায়েদ বলেন, কোনো আলোচনা হয়নি।
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেয়া এক নারী সদস্য বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি আন্তর্জাতিক সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে দলের হাইকমান্ডকে সুপারিশ দেয়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই জেলে আছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে গত ১ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়। এ বছরের দুটি ঈদই তিনি বিএসএমএমইউতে কাটিয়েছেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১৯, ২০১৯)