ঋণের টাকায় ভারত থেকে অস্ত্র ক্রয়
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2019/08/22/47676051_303.jpg)
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতের দেয়া ঋণের টাকায় ওই দেশ থেকেই সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ৷ তবে ভারত থেকে কি ধরণের অস্ত্র কেনা হবে এখনো সেই সিদ্ধান্ত হয়নি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন৷
বুধবারর জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, ভারত থেকে কি কি অস্ত্র কেনা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ৷
সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ৷ কিন্তু ওই অর্থ দিয়ে এখনো কোনো সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়নি৷ ভারতের দেওয়া এই ঋণ এক শতাংশ সুদে ২০ বছরে শোধ করতে হবে৷
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক বৈঠকে তাদের দেওয়া ঋণের টাকায় ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে অনুরোধ করেন৷
এ প্রসঙ্গে আবদুল মোমেন বলেন, ‘‘সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য তারা পাঁচশ' মিলিয়ন ডলার (৫০ কোটি ডলার) লাইন অব ক্রেডিট দিয়েছে৷ তারা বলছে, আপনারা এখন আমাদের সামরিক সরঞ্জাম কেনেন৷ ভারতে এখন অনেকগুলো ডিফেন্স কোম্পানি গড়ে উঠেছে৷
‘‘আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনি৷ অ্যামেরিকা, চায়না, ইউকে, টার্কি থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনি৷ আমরা যেহেতু আগে কোনোদিন ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনি নি তাই এখন আমাদের লোকরা দেখছে ভারত থেকে কী ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কেনা যায়৷''
মন্ত্রী বলেন, ‘‘অফিসিয়াল কমফার্মেশন নেই, আমি শুনেছি আমরা ভারত থেকে আমরা একটা সাবমেরিন কিনতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু তারা সাবমেরিন দেবে না৷''
‘‘সম্প্রতি আমরা চীন থেকে মাল্টিপল রেঞ্জের কিছু অটোমেটিক ফায়ার আর্মস কিনেছি৷ তারা (ভারত) বলছে এগুলো তাদের কাছ থেকে কিনতে৷ আমরা বলেছি আমরা কিনতে রাজি আছি এবং তোমাদের কাছ থেকে আমরা সামরিক সরঞ্জাম কিনব৷ আমাদের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে জানাব, তারা জানাবে কী ধরণের সরঞ্জাম আমরা কিনতে পারি, তারাই সেই লিস্ট তৈরি করবে৷''
ভারত থেকে অস্ত্র কিনলে রাজনৈতিক বিরোধিতা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্নে মোমেন বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না৷ কারণ আমরা আমাদের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করব৷ ভারত শুধু আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে, অস্ত্র বিক্রিতে তাদের সুনাম আছে৷ তাদের বাস-ট্রাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেনে, আমরাও কিনি৷ আমাদের দেশে ভারতবিরোধী একটি মত থাকলে ভারতের ট্রাক-বাসের কেউ বিরোধিতা করে না৷ আমরা আগে কখনো ভারতীয় সামরিক সরঞ্জাম কিনি নি৷ এখন ওরা আমাদের টাকা দিয়েছে, এখন আমরা ওদের কাছ থেকে কিনব৷''
এসব সরঞ্জাম কীভাবে কেনা হবে তার ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘কী কিনব এখন তা চিহ্নিত করতে হবে৷ আমরাতো যেই-সেই জিনিস কিনব না৷ আমাদের খুবই সতর্কতার সাথে কিনতে হবে৷ যাতে এটা দিয়ে (ঋণের টাকা) অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু কিনতে না হয়৷ কারণ ভারতের ঋণের টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে৷ সুতরাং আমাদের খুবই কেয়ারফুল থাকতে হবে৷''
‘‘বাংলাদেশকে এখন অনেক দেশই টাকা দিতে চাচ্ছে৷ এটা খুবই ভালো খবর যে সম্পর্ক এখন টাকার মাধ্যমে আসছে৷ কিন্তু বাংলাদেশ সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে না৷ আমরা সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি৷
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ২১,২০১৯)