দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অপেক্ষমাণ মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে চাপ কমানোর চেষ্টা চললেও নতুন মামলার কারণে তা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ’

তিনি বলেন, ‘৩২ লাখ মামলার ভারে বিচার ব্যবস্থা জর্জরিত। এই চাপ বিচারকদের ওপরও আছে। সরকার এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। মামলাজট কমাতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে। আমরা মামলাজট পদ্ধতিগতভাবে নিরসন করতে চেয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জাস্টিস রিফর্ম অ্যান্ড করাপশন প্রিভেনশন (জেআরসিপি) প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ: ফলাফল উপস্থাপন ও আলোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইন ও বিচার বিভাগ ও জিআইজেড বাংলাদেশের রুল অব ল প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, জাস্টিস অডিট মতে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমাদের আদালগুলোতে মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে ১৮ শতাংশ। অপরদিকে এই তিন বছরে মামলাজট বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এভাবেই প্রতি বছর আদালতে বিচারাধীন মামলাজট বাড়ছে।

তিনি আরও জানান, আদালত বর্তমান মামলাজট কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ছোটখাটো বিরোধ মীমাংসার মাধ্যমে নতুন মামলার অন্তর্ভুক্তি হ্রাস ও সঠিক মামলা ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় এই নিরীক্ষা (জাস্টিস অডিট) বিশ্বে প্রথম বলেও উল্লেখ করেন।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও জিআইজেড বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক উম্মে কুলসুম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জার্মানির ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর বুর্কহার্ড দুকফ্রে, জার্মান সরকারের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেডের টিম লিডার সৈয়দ জিয়াউল হাসান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক এটিএম মোর্শেদ আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জিআইজেড বাংলাদেশের রুল অব ল প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিথা সেনগুপ্ত মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনার মাধ্যমে ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট কী এবং জাস্টিস অডিট সম্পাদনের পটভূমি ব্যাখ্যা করেন।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা, মামলাজট, কারাগারের বন্দি সংখ্যা হ্রাস সর্বোপরি বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নে জাস্টিস অডিট একটি কৌশল বা পলিসি টুল হিসেবে কাজ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ সুপ্রিম কোর্ট ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২, ২০১৯)