কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত হাসান নামে আরও এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। রোববার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসান জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হামিদ উল্লাহর ছেলে। এই ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। একটি বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চত করে জানান, গত ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) টেকনাফের হ্নীলায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২৬ ,২০১৯)