দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকায় ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বাসের ধাক্কায় পা হারানো বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় চৌধুরীকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

যে পরিবহনের বাসের কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে, তার মালিক পক্ষ এই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল কৃষ্ণা যে সংস্থায় কাজ করেন, সেখানে। তবে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলামোটর এলাকায় ফুটপাতে দাঁড়ানো সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ) কৃষ্ণাকে চাপা দেয় ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাস। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। মাথায়ও দুটি সেলাই দেওয়া হয়।

পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে। তবে এর চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়। তাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। আর প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বাসটি ব্রেক ফেইল করে কৃষ্ণাকে চাপা দেয়।

বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা কে জানানন, দুপুরে ট্রাস্ট পরিবহনের মালিক সমিতির কয়েকজন প্রতিনিধি বাংলামোটরে তাদের কার্যালয়ে এসেছিলেন। তারা কৃষ্ণাকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেয়। তবে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা।

‘ট্রাস্টের ডাইরেক্টর এসেছিলেন আমাদের এখানে। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। তারা দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা এ বিষয়ে মামলা করছি। বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস (বিআইডব্লিউটিসির উপসচিব) এই মামলা করছেন।’

এই বৈঠকের সময় কৃষ্ণার স্বামী রাধে দেবও ছিলেন। তিনি ট্রাস্ট্রের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব শুনে অনেকটাই অপ্রস্তুত হয়ে যান বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।

মামলার বাদী বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় তারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে গাড়ির মালিক, চালক এবং সহকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাওয়া হয়েছে অভিযোগে।

কৃষ্ণার অবস্থা এখন কেমন- জানতে চাইলে বিপুল বলেন, ‘পঙ্গু হাসপাতালে তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তাকে আইসিইউ থেকে বের করা হলেও এখনো শঙ্কামুক্ত নন বলেই জেনেছি।’

এর আগে সকালে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সকালে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে কৃষ্ণাকে দেখ সমবেদনা জানান। তিনি তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে যান বলে জানান তার সংস্থার কর্মীরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২৮ ,২০১৯)