দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে র‌্যাব ও ডিবি পুলিশের সঙ্গে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-২২ রাইফেল ও ৬৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৮ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার ভুজপুর থানার কোটবাড়িয়া গ্রামের শিকদারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান।

তিনি জানান, কোঠবাড়িয়া গ্রামের শিকদারপাড়ায় র‌্যাবের টহল দলের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে গাজীপুর মহানগরীর সালনায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুজন মিয়া (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত ওই যুবক অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে র‌্যাব। নিহত সুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১১টি মাদক, একটি অস্ত্র ও অপরটি হত্যা মামলা।

বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনার মোল্লাপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে শটগান, ওয়ান শুটার গান, কার্তুজ ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুজন মিয়া সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর আরিচপুরের চাঁন মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, র‌্যাব-১ এর একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সালনার মোল্লাপাড়া এলাকায় কয়েকজন অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। এ খবরে রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই টহল দল সেখানে অভিযানে যায়। র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে সুজন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে সুজন মিয়াকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ২টি শটগান, ২টি ওয়ান শুটারগান, ১২০০ পিস ইয়াবা, ৯ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় র‌্যাবের একজন সৈনিক আহত হয়েছেন।

অপরদিকে কুমিল্লায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাসেল নামে তালিকাভুক্ত এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার গভীর রাতে জেলার সদর উপজেলার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন শ্রীপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত রাসেল সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগবের গ্রামের হারু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় ৮-১০টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি রামদা ও সাড়ে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২৯ ,২০১৯)