রোহিঙ্গারা ফেরত যাক, বিএনপি এটা চায় না: তথ্যমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক :তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন: রোহিঙ্গারা ফেরত যাক বিএনপি এটা চায় না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করাটাই হলো বিএনপির উদ্দেশ্য।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী।
এসময় সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ যে পথে হাঁটছে সেটিই সঠিক পথ। কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা যাবে না। বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার দলের নেতারা যেভাবে রোহিঙ্গা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন, তাদের কথাবার্তায় মনে হয় রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাক এটি তারা চান না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করাই তাদের উদ্দেশ্য।
জাতির পিতার অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্রী বলেন: বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফেরার সময় ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে বলেছিলেন, মিসেস গান্ধী আপনার সৈন্য কখন ফেরত নেবেন? বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী রাজনৈতিক চিন্তার কারণে সেদিন তিন মাসের মাথায় ভারতীয় সৈন্য ফেরত গিয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এক কোটি শরণার্থী ফিরিয়ে এনেছিলেন। দেশে থাকা দুই কোটি গৃহহীন মানুষকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছেন। আজ ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আমরা হিমশিম খাচ্ছি। অথচ বঙ্গবন্ধু তিন কোটি মানুষকে পুনর্বাসন করেছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা শুধু ব্যক্তি শেখ মুজিবুর রহমানকে নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল। যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন আর সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই মুছে গেছে।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ আজ স্বপ্নপূরণের পথে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন: ২০২১ সাল নাগাদ পরিপূর্ণ মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা যদি শেখ হাসিনাকে সুযোগ দেই, বাংলাদেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় আমরা পুরনো কাপড় বিদেশ থেকে আমদানি করে এনে পড়তাম আর এখন আমরা বিদেশে নতুন কাপড় রপ্তানি করি।
পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন: দেশের অগ্রযাত্রায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা রয়েছে, আত্মত্যাগ রয়েছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, পেট্রোল বোমাবাজদের প্রতিহত করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। স্বাধীনতা-সংগ্রামে, দেশ গঠনের ক্ষেত্রে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতি বিরাজমান রাখার ক্ষেত্রে এবং দেশের ক্রান্তিকালে পুলিশ বাহিনী যেভাবে দায়িত্বপালন করেছে, করছে। পুলিশ সদস্যরা প্রয়োজনে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে- এজন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
নগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ৩০,২০১৯)