ফেরিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: সচিব-ডিসির কোনো ‘দোষ’ নেই!
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মাদারীপুরের কাঁঠালঘাটে সচিবের অপেক্ষায় ফেরি না ছাড়ায় নদীর মাঝপথে স্কুলছাত্রের মৃত্যুতে সেই সচিবের কোনো দায় খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। একই সাথে মাদারীপুরের ডিসিকেও দায়মুক্তি দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দাখিল করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডল জানতেন না যে, ফেরিঘাটে মুমূর্ষু রোগী আছে। কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য কোনোভাবেই ফেরি দেরি করে ছাড়া যাবে না বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন, ঘাটের প্রান্তিক সহকারী খোকন মিয়া এবং উচ্চমান সহকারী ও গ্রুপ প্রধান ফিরোজ আলমকে দায়ী করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এই প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত দলের অপর দুই সদস্য হলেন-নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব আ. সাত্তার শেখ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব তোফায়েল ইসলাম।
নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভাড়া করা একটি আইসিইউ সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশে রওনা দেন পরিবারের লোকজন।
রাত ৮টার দিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটের মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ১ নম্বর ভিআইপি ফেরিঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন ‘কুমিল্লা’ নামে ফেরিটি ঘাটে যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। এ সময় সরকারের এটুআই প্রকল্প যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মণ্ডল পিরোজপুর থেকে ঢাকা আসবেন বলে ওই ফেরিকে অপেক্ষা করতে ঘাট কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠানো হয়।
তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু এর মধ্যে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় তিতাস।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ০৫ ,২০১৯)