দৌলতদিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় ২ শতাধিক গাড়ি
রাজবাড়ী প্রতিনিধি: ফেরি স্বল্পতা, তীব্র স্রোত ও নাব্যতা সংকটের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া প্রান্তে ৫০টি যাত্রীবাহী বাস ও দেড় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে দৌলতদিয়া প্রান্তে মহাসড়কের অন্তত ৩ কিমি. এলাকা জুড়ে ৩ শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। এসব যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আবদুল্লাহ জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে রাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলছে ধীরে ধীরে।
বর্তমানে এ নৌরুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। নদী পারাপারে সময় বেশি লাগছে। কমে যাচ্ছে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা। আর দৌলতদিয়া ঘাটের ১ নম্বর ফেরিঘাটে নাব্যতা সংকটের কারণে চলছে ড্রেজিং।
বাকি পাঁচটি ঘাট সচল রয়েছে। ফেরি ধীরে চলার কারণে ঘাট প্রান্তে যানবাহনের লাইন রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, তীব্র স্রোতের সঙ্গে পলি এসে পাটুরিয়ার ৪ ও ৫নং ঘাট এলাকায় জমে নদী অববাহিকায় নাব্য কমতে শুরু করেছে।
৫নং দুদিন ঘাটের আপ পকেট ও ৪নং ঘাটের ডাউন পকেট বন্ধ রেখে ড্রেজিং চালানো হয়। দুটি ঘাট বন্ধের পাশাপাশি ড্রেজার মেশিন ও পাইপের কারণে অন্যান্য ঘাট দিয়েও ফেরি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
দৌলতদিয়ার ১নং ঘাট এলাকাতেও শুরু হয়েছে ড্রেজিং।
এছাড়া রুটের ১৮টি ফেরির মধ্যে বুধবার চলে ১৫টি ফেরি। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে রোরো ফেরি শাহজালাল ঠিক হলেও এখন পর্যন্ত কাবেরী ও মাধবীলতা নামের দুটি ফেরি বিকল রয়েছে।
এছাড়া শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ডাম্ব ফেরিগুলো চলতে পারছে না। রোরো ফেরিগুলো চলছে শুধু রাতে। ওই রুটে নৌ পারাপারে বেশি বিড়ম্বনার কারণে বহু গাড়ি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করছে। ফলে বাড়তি চাপ পড়ছে এখানকার ঘাট এলাকায়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচার জিএম (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান জানান, ফেরি কমে যাওয়ায় ও ঘাট এলাকায় নাব্য সংকটের কারণে ড্রেজিং চলায় সাময়িকভাবে ফেরি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এতে করে দৌলতদিয়া প্রান্তে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ না থাকায় আমরা এ ঘাটে ফেরি আসা মাত্রই পুরোপুরি লোডের অপেক্ষা না করে ফেরিগুলোকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে দিচ্ছি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ০৭,২০১৯)