দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল না কিনে সুবিধাভোগীদের (মধ্যস্বত্বভোগী) কাছ থেকে কেনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ফিরোজ আলম।

অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা-২০১৭’ অনুযায়ী ‘কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি মৌসুমে উৎপাদিত ধান ও গম এবং বৈধ ও সচল চালকল মালিকদের নিকট থেকে চুক্তির বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মৌসুমের ধান থেকে ছাঁটাই করা চাল সংগ্রহ করা হবে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সরবরাহ করা মৌসুমে আবাদকৃত জমির পরিমাণ এবং সম্ভাব্য উৎপাদনের পরিমাণসহ ডাটাবেইজ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রান্তিক কৃষক নির্বাচন করবে উপজেলা কমিটি। এই কমিটি প্রত্যেকের প্রদেয় খাদ্যশস্যের পরিমাণসহ নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা সংশ্লিষ্ট সংগ্রহ কেন্দ্রে প্রেরণ করবে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের নিকট থেকে ধান ও গম ক্রয় করা হবে। সংগ্রহ কেন্দ্রের কর্মকর্তা কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কৃষকদের শনাক্ত করবেন। তালিকা বহির্ভূত কারও নিকট থেকে ধান ও গম ক্রয় করা যাবে না।’
কিন্তু ২০১৭ সালের ওই নীতিমালা লঙ্ঘন করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে বলে এই সংক্রান্ত রিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এর ফলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।

জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপের দায়ের করা রিটে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের লোক বা স্থানীয় সরকারি দলের লোকজনই সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের সুযোগ পান। আর তারা কেউই প্রান্তিক কৃষক নন। ক্ষেত্র বিশেষে তারা গরিব কৃষকের ধান কম মূল্যে কিনে বেশি মূল্যে সরকারি গুদামে সরবরাহ করেন। এতে ঋণ করে ধান উৎপাদন করে এখন কৃষকেরা তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট / টিআইএম/১১ সেপ্টেম্বর,২০১৯)