দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সফরে বিদেশ যাত্রা এবং সফর শেষে ফেরার সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।

১১ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সই করা একটি প্রজ্ঞাপনে ‘প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রা এবং বিদেশ থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকালে অনুসরণীয় রাষ্ট্রাচার’ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিলে জারি করা নির্দেশনা বাতিল করে নতুন এ নির্দেশনা করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রা এবং সফর শেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকালে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠতম একজন মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও প্রধান হুইপ, জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সাধারণ সম্পাদক, ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রধান, স্বাগতিক দেশের মিশন প্রধান।

এছাড়া থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌ বাহিনীর প্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রচার প্রধানের উপস্থিত থাকতে হবে।

আগে দুজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী থাকার কথা বলা হলেও নতুন নির্দেশনায় একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী থাকার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আগের নির্দেশনা অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান বা প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও নতুন নির্দেশনায় (যদি প্রধানমন্ত্রী বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট ব্যবহার করেন) তা বাতিল করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১৭,২০১৯)