থানায় ডিসিদের ২ ঘণ্টা থাকার নির্দেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: থানার হয়রানি এড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সপ্তাহে ২-৩ ঘণ্টা থানায় থাকার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এলাকার উপ-কমিশনারদের (ডিসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এক চিঠিতে ঢাকার অপরাধ বিভাগের ডিসিদের এই নির্দেশ দেন।
থানায় সেবার মান বৃদ্ধি ও সেবা প্রত্যাশীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য এ নিদের্শনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে যে নিদের্শনা রয়েছে , প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায় যে, নিরীহ অসহায় জনসাধারণের একটা বিরাট অংশ থানায় তার প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমলযোগ্য অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ আমলে না নেওয়া, অনাকাঙ্ক্ষিত কালক্ষেপণ করা হয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ অনেক সময় অযথা হয়রানিমূলক আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাপ্য আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও পাওয়া যায়। তাই থানায় সেবার মান বৃদ্ধি ও সেবা প্রত্যাশীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারে ওসিরা কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পাশপাশি জোনাল এসি ও এডিসিরা সার্বক্ষণিক থানার কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ডিসিরা থানায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা অবস্থান করে থানার বাস্তব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে সরাসরি আইন অনুযায়ী সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।
এদিকে নির্দেশ পাওয়ামাত্র সেভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবদুল্লাহ হেল কাফী।
তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারে নির্দেশনা মোতাবেক আজ ৩ ঘণ্টা হাজারীবাগ থানায় অবস্থান করে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। বিষয়টি চলমান থাকবে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যার আমাদের যে ধরনের নির্দেশনা দেবেন আমরা সেটি নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
প্রসঙ্গত গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৩৪তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। এরপর সেদিনই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ডিএমপির অধীনস্থ কোনো থানায় যদি জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা ও ভালো আচরণ না পায়, তাহলে সিনিয়র অফিসারদের থানায় বসাব। প্রয়োজনে আমি নিজে থানায় বসে ওসিগিরি করব। এলাকার লোকদের কথা বলব।
সেদিন তিনি আরও বলেন, ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানায় সেবা নিতে আসা কাউকে যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়। সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১৮,২০১৯)