খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আটকের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে র্যাবের সিলভার কালারের একটি হায়েস গাড়িতে করে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পাশের রুমে তাকে রাখা হয়।
এসময় তার গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পড়া ছিল। খালেদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা র্যাবের পক্ষ থেকে করা হতে পারে। একটি মাদক আইনে অপরটি অস্ত্র আইনে। তার বাসা যেহেতু গুলশানে তাই তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
এছাড়া রাজধানীর ফকিরাপুলের তার মালিকাধীন ‘ইয়ংমেন্স ক্লাব’ এ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হওয়ায় মতিঝিল থানায় পৃথক আরেকটি মামলা হতে পারে।
এর আগে বুধবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটকের পর র্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ক্যাসিনো থেকে উপার্জনের টাকা কার কার কাছে যেত, সে নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাকে। রাতে গ্রেপ্তারের সময় তার বাসা থেকে চারশ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। যা টাকায় ছয় লাখের মতো। তার কাছ থেকে মোট ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে একটি পিস্তল ও অপর দুটি শর্টগান। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।
এদিন রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ক্যাসিনো থেকে ১৪২ জনকে আটক করে র্যাব। এসময় ক্যাসিনোতে জুয়া খেলার বিশটির মতো বোর্ড এবং নগদ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রায় ৫০ বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করে র্যাব।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১৯,২০১৯)