নেতকর্মীসহ মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেতকর্মীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান করছেন। কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে ছাত্রদলের শীর্ষ পদে আসার তিন পরই ক্যাম্পাসে এসেছে ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।
বেলা ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করলে ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাদের অভিনন্দন জানান। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ছাত্ররাজনীতির আতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত মধুর ক্যান্টিন।
সভাপতি ও সম্পাদককে ক্যাম্পাসে পেয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ছাত্রদলের সবশেষ কমিটি বেশিরভাগ সময়ই ক্যাম্পাস ছাড়া ছিল। ডাকসু নির্বাচনের সময় শুধু কয়েকবার তারা ক্যাম্পাসে আসে।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় বিএনপির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নবনির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
২৮ বছর পর ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বুধবার রাতে কাউন্সিলররা সরাসরি ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে। স্কাইপিতে এই আয়োজনের পুরোটা তত্ত্বাবধান করেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৯ জন সভাপতি প্রার্থী এবং ১৯ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্য থেকে খোকন ও শ্যামলকে বেছে নিয়েছেন কাউন্সিলররা। সারা দেশে ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক শাখার ৫৩৪ কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮১ জন ভোটাভুটিতে অংশ নেন।
কাউন্সিলরদের ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে সভাপতি হয়েছেন খোকন। তিনি পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ পেয়েছেন ১৭৮ ভোট।
অন্যদিকে খোকন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। ছাত্রদলের গত কমিটিতে গণশিক্ষাবিষয়ক সহসম্পাদক ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তার পৈতৃক নিবাস বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পারভবানীপুর গ্রামে।
শ্যামল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে ২০০৯ সালে অনার্স এবং ২০১০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় অধ্যয়নরত।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ২২,২০১৯)