‘রোহিঙ্গা সঙ্কট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2019/09/28/pm-4.jpg)
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কটকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে এর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ জাতিসংঘের ৭৪ তম সাধারণ পরিষদের ভাষণে এ বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সমস্যা এখন আর বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। বাংলাদেশের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিষয়টি এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরন্তু ক্রমবর্ধমান স্থান সংকট এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের কারণে এই এলাকার পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এটি দুঃখজনক যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়ায় আজ এ বিষয়টি আমাকে পুনরায় উত্থাপন করতে হচ্ছে। ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের আশ্রয়ে রয়েছে। হত্যা-নির্যাতনের মুখে তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা প্রলম্বিত হয়ে তৃতীয় বছরে পদার্পন করেছে। কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতা এবং সামগ্রিকভাবে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি। আমি অনুরোধ করবো এই সংকটের যেন সবাই অনুধাবন করেন।’
তিনি বলেন, আমি এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং রাখাইন প্রদেশে বেসামরিক তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। আজ আমি কিছু প্রস্তাব আবার পেশ করছি:
১। রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে।
২। বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে।
৩। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
৪। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণগুলো বিবেচনায় আনতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার সময় অন্যান্যের মধ্যে তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অধিবেশনস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ২৮,২০১৯)