দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অনলাইনের ক্যাসিনো থেকে অর্জিত টাকার একটি অংশ লন্ডনে যেত বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তবে লন্ডনে কার কাছে যেত, সেটি জানতে চলছে তদন্ত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-২ নম্বরে অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধানের বাড়ির নিচতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম বলেছেন, তার অনলাইন ক্যাসিনো থেকে আয়ের অবৈধ টাকা তিন ব্যাংকে জমা রাখতেন। পরে সে সব টাকা হুণ্ডি বা সঙ্গে করে বিদেশে পাচার করতেন। লন্ডনেও তিনি সে সব টাকা পাচার করতেন বলে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেছেন, অনলাইনে ক্যাসিনো খেলতে হলে গ্রাহকের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয়। সে সব টাকা তিনটি গেটওয়েতে জমা হতো। খেলায় জিতলে টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেরত যেত, আর হারলে টাকাগুলো গেটওয়েতে থেকে যেত। সেলিমের সহকারী মো. আক্তারুজ্জামান প্রতি সপ্তাহে সেই গেটওয়ের টাকা উত্তোলন করে সেলিম, যমুনা ও কমার্শিয়াল- এই তিন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতেন। এরপর সে সব টাকা হুণ্ডির মাধ্যমে অথবা সঙ্গে করে বিদেশে পাচার করা হতো।

তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে সেলিম প্রধানের সখ্যের কথা জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেছেন, সেলিমের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সখ্য ছিল। তাকে বিএমডাব্লিউ গাড়িও উপহার দিয়েছে সেলিম প্রধান। এ ছাড়া আমরা জানতে পেরেছি, বিভিন্নভাবে লন্ডনেও টাকা পাঠিয়েছেন সেলিম।

তিনি আরও বলেছেন, একটা গেটওয়ে থেকে প্রতি মাসে ৯ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। এমন আরও কিছু গেটওয়ে রয়েছে, সেগুলো আমরা যাচাই-বাচাই করে দেখছি। লন্ডনে পাচারকৃত টাকা তারেক রহমানের কাছে যেত কিনা বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব বলে জানিয়েছে এই কর্মকর্তা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০১,২০১৯)