দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারত সফরে সাতটি চুক্তি ও তিনটি যৌথ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, গত এক দশকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রথাগত খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা অপ্রথাগত খাতেও সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে এগারোটায় দিল্লির হায়দারাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। এই বৈঠকের পর পারস্পারিক সহায়তা সংক্রান্ত সাতটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। পরে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সম্পন্ন হওয়া নতুন তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তারা। সে সময় দুই নেতাই পারস্পারিক সহায়তার সম্পর্ক নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিভিন্ন প্রথাগত খাতে বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ও অপ্রথাগত খাত যেমন ব্লু ইকোনোমি ও মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রফতানি, সাইবার সিকিউরিটির মতো বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব বহুমুখী সহযোগিতার ফলে আমাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সামনে সুপ্রতিবেশিসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে’। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, ‘ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মধ্যকার এই সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। যখন বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের অপরিসীম অবদানের কথা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা এক মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হয়’।

শনিবার বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া একই দিন সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’ দেবে এশিয়াটিক সোসাইটি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৫,২০১৯)