সাকিবের ব্যর্থতার দিনে হারল বার্বাডোজ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) গ্রুপপর্বে নিজের প্রথম তিন ম্যাচে দারুণ পারফরম করেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট-বল হাতে অনন্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন তিনি। তাতে সেরা দুইয়ে জায়গা করে নেয় বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। নাম লেখায় প্লেঅফে।
তবে নকআউট পর্বে ব্যর্থ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাটে রান পাননি। বোলিংয়েও ছিলেন বেশ খরুচে। তার ব্যর্থতার দিনে হেরেছে দলও। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাদের ৩০ রানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
তবে হারলেও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলার সুযোগ থাকছে বার্বাডোজের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলবে তারা। ওই ম্যাচে জিতলেই ফাইনালি লড়াইয়ে থাকবেন সাকিবরা।
শনিবার রাতে গায়ানা প্রভিডেন্স মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। শুরুতে ভালোই বল করেন সাকিব। প্রথম ৩ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৭ রান। কিন্তু নিজের চতুর্থ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ফেলেন তিনি। ওই ওভারে তার ওপর চড়াও হন শোয়েব মালিক ও ব্র্যান্ডন কিং। দুজনই দুটি করে ছক্কা হাঁকান। সঙ্গে একটি চারও মারেন কিং।
বার্বাডোজ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্র্যান্ডন। মাত্র ৭২ বলে ১৩২ রানের হার না মানা টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। চারের চেয়ে ছক্কা মারার দিকে বেশি মনযোগী ছিলেন এ ওপেনার। ১১ ছক্কার বিপরীতে চার মারেন ১০টি।
ব্র্যান্ডনকে সমর্থন দেন চন্দ্রপল হেমরাজ ও শোয়েব মালিক। হেমরাজ ২৭ ও মালিক করেন ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১৮ রানের পাহাড় গড়ে গায়ানা।
সামনে বিশাল লক্ষ্য, স্বভাবতই তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে মেজাজি হয়ে খেলতে হয় বার্বাডোজকে। এতে দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ওয়ানডাউনে নেমে দ্রুত বিদায় নেন সাকিব। পরে জোনাথন কার্টার ও অ্যালেক্স হেলস রানের চাকা সচল রাখেন।
একপর্যায়ে তাদের লড়াইও থামে। ৩৬ রান করে বিদায় নেন হেলস। আর কার্টার করেন ৪৯ রান। এর মাঝে ও পরে যাওয়া-আসার মিছিলে ব্যস্ত থাকেন বার্বাডোজের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৮৮ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৭,২০১৯)