বুয়েট ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা : ছাত্রলীগের ৪ জন আটক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে সোমবার সকালে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে যে ঐ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, বলছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
নিহত ছাত্রের নাম আবরার ফাহাদ। তিনি ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বিবিসিকে জানান, সোমবার ভোরে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে একজন ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে তারা।
সোহরাব হোসেন জানান, "আমরা ধারণা করছি রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি ভোরে।"
মি. সোহরাব হোসেন জানান, নিহতের পায়ের উপরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ঐ ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে শুরুতে বুয়েটের ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয় বলে বিবিসিকে নিশ্চিত করেন সোহরাব হোসেন।
"বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল এবং যুগ্ম সম্পাদক ফুয়াদকে আটক করা হয়েছে",জানান মি. হোসেন।
এর কিছুক্ষণ পর হল থেকে আরো দু'জনকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেন মি. হোসেন। তিনি জানান পরে আটক করা দু'জনও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরে বাংলা হলের এক ছাত্র - যিনি আবরারের সাথে এই বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন - বিবিসিকে জানান রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একই বর্ষের কয়েকজন ছাত্র আবরারকে ডেকে নিয়ে যান।
এরপর আনুমানিক রাত ২টার দিকে সিঁড়িতে আবরারকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। সেসময় তার শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান তিনি।
শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করে।
আবাসিক হলের ভেতরে হত্যার ঘটনা ঘটায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে।(দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/০৭ অক্টোবর,২০১৯)