আর্জেন্টিনা চায় নিরাপত্তা, বাংলাদেশের চাওয়া মেসি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। মেসিদের আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনার উদ্যোক্তা ইউরোপভিত্তিক এজেন্টটি কয়েক দফা সভাও করেছে বাফুফের সঙ্গে। তারপরই আগামী ১৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে মেসিদের ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচটির তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। দ্বিতীয়বার মেসিদের ঢাকা সফরের খবরটি এখন ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত।
মেসিদের ঢাকা সফরের সম্ভাবনাটা কোথায় দাঁড়িয়ে? বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ বলেছেন ফিফটি-ফিফটি। তবে আর্জেন্টিনার অক্টোবর ও নভেম্বরে যে চারটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবে সে সিডিউলে ঢুকে গেছে ১৮ নভেম্বরের ঢাকার ম্যাচটি।
এ ধরনের ম্যাচ আয়োজন মানেই নানা দেন-দরবার। অংশগ্রহণকারী দল, এজেন্ট এবং আয়োজক দেশের মধ্যে এ আলোচনা হয়ে থাকে দফায় দফায়। হচ্ছে বাংলাদেশেও। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই এজেন্টের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনায় বসবে বাফুফে। এ আলোচনার জন্য ঢাকায় আসতে পারেন এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় প্রতিনিধিরাও।
এ ম্যাচ নিয়ে তিন পক্ষেরই আছে বেশ কিছু শর্ত। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান শর্ত দলে মেসির নিশ্চয়তা। আর আর্জেন্টিনার প্রধান শর্ত নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টি। বাফুফেই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে এ ম্যাচের অনুমতি দেয়ার সময়ও ‘মেসি থাকতে হবে’- এমন শর্ত দেয়া হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, ‘যে প্রতিষ্ঠান ঢাকায় এই ম্যাচ আয়োজন করবে তারা আমাদের কাছে অনুমতি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিষয়ে একটি চিঠি চেয়েছিল। আমরা দিয়েছি। সেখানে বলেছি, আর্জেন্টিনা দলে মেসি থাকতে হবে। আসতে হবে আর্জেন্টিনার পূর্ণাঙ্গ দল। কারণ, অপূর্ণাঙ্গ আর্জেন্টিনা দল আনার মানেই হয় না।’
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার ম্যাচ আয়োজনে খরচ হয়েছিল ৩০ কোটি টাকার বেশি। আট বছর পর আর্জেন্টিাকে আবার আনতে খরচটা আরো বড় হবে সেটাই স্বাভাবিক। বাফুফের একটি সূত্র মতে এবার খরচ চলে যাবে চল্লিশ কোটির ওপরে।
এ টাকার উৎস খুঁজবে এজেন্ট। তবে তাদের পৃষ্ঠপোষক খুঁজে দেয়ার বড় একটা দায় থাকবে বাফুফেরও। এটাও একটা শর্ত। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক এ জন্যই এখনো ম্যাচটির বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা না দিয়ে বলছেন ফিফটি-ফিফটি।
দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি হবে ঢাকায়; প্যারাগুয়ে-ভেনেজুয়েলা এবং আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে। তবে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ১৫ নভেম্বরের প্যারাগুয়ে-ভেনেজুয়েলার ম্যাচটি নিয়ে তেমন আশার কথা শোনালেন না। কারণ, আর্জেন্টিনা ম্যাচ নিয়ে পৃষ্ঠপোষকদের যে আগ্রহ থাকবে তেমন থাকবে না অন্য ম্যাচটি নিয়ে। এখন আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ের মধ্যেকার ১৮ নভেম্বরের ম্যাচ নিয়ে বেশি আলোচনা।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৮,২০১৯)