ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার তিন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার ( ৯ অক্টোবর) মামলা তিনটির অপর দুই আসামি আদালতে হাজির হলেও ড. ইউনূস অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন।
আদালতের পেশকার নুরুজ্জামান এ তথ্য জানান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল আজ বুধবার। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার এ আদেশ দেন ।
আদালতের পেশকার নুরুজ্জামান জানান, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন হাজির থাকায় আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।
বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী রাজু আহম্মেদ আদালতে শুনানি করেন। তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমানে তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) ব্যবসার কাজে বিদেশ অবস্থান করছেন, তাই তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব ছিল না। তিনি দেশে এলে আদালতে উপস্থিত হবেন। তাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করার জন্য তিনি আবেদন করেন।
শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশে থাকায় তাকে (আইনজীবী) ওকালতনামা (মামলা পরিচালনার ক্ষমতাপত্র) না দেওয়ায় তার পক্ষে আবেদন জমা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। এরপর আদালত আসামিদের উপস্থিতির জন্য সমন ইস্যু (নোটিশ) করেন।
তিনটি মামলার বাদীরা হলেন, প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, একই সংগঠনের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সংগঠনটির সদস্য এমরানুল হক।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৯,২০১৯)