দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মুজাহিদুর রহমান নামের এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মুজাহিদুর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

এ ছাড়া শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ ওরফে আবু হুরাইরা নামের দুই বুয়েট ছাত্রকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ পাঁচজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর চার আসামি হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ, মুনতাসির জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ও ইমতিয়াজ আহমেদ মুন্না।

আদালত ও পুলিশ সূত্র বলছে, এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন এখনো পুলিশি হেফাজতে আছেন।


আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত রোববার রাত আটটার দিকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। ছাত্রলীগের নেতারা আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখেন হলের সিঁড়িতে।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আবরার হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ ছাত্র গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেফতাহুল ইসলাম ও মুজাহিদুর রহমান। আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, কীভাবে কতজন মিলে নির্যাতন করে সেদিন আবরারকে তাঁরা হত্যা করেন। জবানবন্দিতে জানা গেছে, আবরারকে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প ও মোটা দড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেহেদি হাসান রবিনসহ অন্যরা। (দ্য রিপোর্ট / টিআইএম/১৩-১০-১৯)