বিজেপির হয়ে প্রচারের শর্তে রাজি হওয়ায় সৌরভ বোর্ড সভাপতি!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সভাপতি হচ্ছেন। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
রোববার রাতে নাটকীয়ভাবে বিসিসিআইয়ের রাজ্য সংস্থাগুলোর বেসরকারি বৈঠকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার নামে পড়েছে সিলমোহর। খবর আনন্দবাজার।
এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারণার শর্তে রাজি হওয়ায় নাকি সৌরভকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি করা হচ্ছে! যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
আজ সোমবারই সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন। এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেই পড়তে হচ্ছে না সৌরভকে।
কারণ, শেষ পর্যন্ত সমস্ত রাজ্য সংস্থা সর্বসম্মতভাবে তাকেই সভাপতি হিসেবে মেনে নিয়েছে রোববার রাতের সভায়। এক সময় ব্রিজেশ প্যাটেলই সভাপতি হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল।
কিন্তু নাটকীয়ভাবে মোড় ঘুরিয়ে দেন সৌরভ। জল্পনা চলছে, বিজেপির হয়ে প্রচারের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েই কি হাওয়া নিজের দিকে ঘুরিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক?
২০২১ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাকেই কি তুলে ধরতে চাইছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ?
সৌরভ যদিও এসব জল্পনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘একেবারেই এমন কিছু নয়। কেউই এই ব্যাপারে আমাকে কিছু বলেনি।’
সৌরভের ভাষ্য, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে শুরুতেই নজর দিতে চান তিনি।
সৌরভ বলেছেন, বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই সময়ে সভাপতি হতে পারায় খুশি। কিছু করার জন্য দারুণ সুযোগ পেয়েছি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হোক বা অন্য ভাবেই হোক, এটা মস্ত বড় দায়িত্ব।
‘কারণ, বিসিসিআই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্থা। ভারত হল ক্রিকেটের পাওয়ারহাউস। এই দায়িত্ব তাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং।’
বোর্ড সভাপতি হওয়ার সঙ্গে জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়াকেও তুলনা করতে চাননি সৌরভ।
তার মতে, ‘দেশের অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারই আলাদা। সেটার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। তবে আমি কখনও ভাবিনি বোর্ড সভাপতি হতে পারব।’
বোর্ডমহলে যদিও ফিসফাস চলছে যে, সভাপতি পদ ছাড়া অন্য কোনো পদে আগ্রহী ছিলেন না তিনি। এই ব্যাপারেই নয়াদিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে কথাও হয় তার।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৪,২০১৯)