যুবলীগ নয় সম্রাট মুক্তি পরিষদ!
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হায়রে নিয়তি! দুদিনও আগেও ছিলো সে যুবলীগের সম্রাট। এককথায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ চলতো তার ইশারায়। সময়ের পরিক্রমায় সাম্রাজ্য থেকে সম্রাটের পতন হয়েছে। আলোচিত ক্যাসিনো কেলেংকারীর ঘটনায় আজ তিনি কারাগারে। আর তার মুক্তির দাবীতে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরান ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বর।
আজ (১৫ অক্টোবর) সম্রাটকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে ‘ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট মুক্তি পরিষদের’ ব্যানারে পুরা আদালত চত্বর পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।
পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘সম্রাটের হাতে হাতকড়া রাজনীতিবিদরা চরম লজ্জিত’। ‘সম্রাট খুবই অসুস্থ মানবতার জননী তাকে বাঁচান।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতি মাসে ঢাকার বাইরেও যেতেন জুয়া খেলতে।
সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এর পর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগৎ। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৫,২০১৯)