কলকাতার মাঠে গোলটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে: সাদ উদ্দিন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।২০১৫ সালে সিলেটের সেই ফাইনালে টাইব্রেকারে গোল পেয়েছিলেন সাদ উদ্দিন। এছাড়া পুরো আসরে তরুণ স্ট্রাইকার হিসেবে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। এরপরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সময়ের সঙ্গে নিজেকে গড়ে তুলে এখন জাতীয় দলেও খেলছেন। চার বছর আগে টাইব্রেকারে যে ভারতের সঙ্গে গোল করেছিলেন, তাদের বিপক্ষে মঙ্গলবার বিশ্বকাপ বাছাইতেও গোলের দেখা পেলেন অসাধারণ দক্ষতায়।
কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিকে গোলকিপার গুরপ্রীত সিং পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ফ্লাইট মিস করেছিলেন। এরপর সাদ উদ্দিনের দুর্দান্ত হেডে বল জড়ায় জালে। এই লক্ষ্যভেদী শটে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে স্বাগতিকরা গোল করে হার এড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত।
ভারতের মাঠে তাদের বিপক্ষে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে আনাও কম সাফল্য মনে করছেন না সাদ উদ্দিন। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘ভারত আমাদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে বেশ এগিয়ে। তাদের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পাওয়াটাও বড় সাফল্য। তবে আমরা যদি তিন পয়েন্ট পেতাম তাহলে অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু তারপরেও কোনো আক্ষেপ নেই। পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফিরতে আসতে পারছি এটাই বড় কথা।’
সাদ উদ্দিন স্ট্রাইকার হিসেবে খেলে আসছেন। এবার ঘরোয়া মৌসুমে আবাহনীতে খেলতে হয়েছে বেশিরভাগ সময় ডিফেন্সে। কিন্তু জাতীয় দলে জেমি ডে তাকে খেলিয়েছেন উইংয়ে। যখন প্রয়োজন হয়েছে প্রতিপক্ষের সীমানায় গিয়ে হানা দিয়েছেন। আবার সময় মতো ডিফেন্সে এসে দাঁড়িয়ে গেছেন।
তাই যে কোনো পজিশনে সাদ মানিয়ে নিয়েছেন অবলীলায়। সাদ বলছিলেন, ‘কোচ আমাকে যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে খেলিয়েছেন। আমি তার আস্থার প্রতিদান দিয়েছি। একাদশে খেলা তো কম কথা নয়।’
ভারত ম্যাচে কিছু একটা করে দেখাবেন, তা আগে থেকে পণ করে রেখেছিলেন সাদ। জামাল যখন ফ্রি-কিক নিলেন সাদ তখনই বলের গতি-প্রকৃতি দেখে লক্ষ্যভেদ করতে সময় নেননি। সেই আনন্দঘন দৃশ্য ছিল দেখার মতোই। সাদ তাই বলছিলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ফ্রি-কিক থেকে বল পেলেই কিছু একটা করবো। জামাল ভাইয়ের ফ্রি-কিকে তা পেয়েও গেলাম। তারপর তো দেখি বল জালে। এমন গোলের পর কার না ভালো লাগে বলুন। আমি আসলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলে গত বছর ঢাকার সাফে সাদের অভিষেক। আর এই প্রথম জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোল। ৮০ হাজার দর্শকের সামনে এমন গোলের স্মৃতি চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে বলে সাদ জানালেন, ‘এতো দর্শকের সামনে আগে খেলিনি। তবে কোনো চাপ নেইনি। কোচ বলেছে ম্যাচটি উপভোগ করতে। নিজের সেরাটুকু দিতে। সবাই মিলে সেটাই করেছি। আর আমার জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে এই প্রথম গোল প্রাপ্তি। কলকাতার এই মাঠে এতো দর্শকের সামনে গোলটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৬,২০১৯)