দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দশ দিনের রিমান্ডে যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন। তার গ্রেপ্তার ও শুদ্ধি অভিযানকে তিনি রাজনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। সম্রাট প্রশ্ন করেছেন যে, কর্মীরা চলে কীভাবে, নেতারা কি তা জানে? নেতারা শুধু নিজেদের আখের গোছায়। কর্মীদের খবর কেউ নেয় না। সম্রাট দাবি করেন যে, তিনি প্রায় ৫ হাজার কর্মীকে চালান।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক সূত্র বলছে, রিমান্ডে সম্রাটের দম্ভোক্তি একটুও কমেনি। বরং তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছেন যে, ঢাকা শহরে পাঁচশ’ লোক জড়ো করার ক্ষমতা কোনও নেতার আছে কিনা।

সম্রাট দাবি করেছেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। তবে তিনি মনে করেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই একদিন সবকিছু জানবেন। তখন তিনি সম্রাটের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন।

সম্রাট বারবার দাবি করছেন যে, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। ক্যাসিনোর টাকা কিংবা বিদেশে অর্থ ইত্যাদি প্রসঙ্গে প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে চলছেন। তবে সম্রাট বলছেন, তিনি যা কিছু করেছেন দলের স্বার্থে করেছেন। দলের কর্মীদের চালানোর জন্য এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৭,২০১৯)