জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব কার্যালয়ে সম্রাট-আরমান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অস্ত্র ও মাদক মামলায় মোট ১০ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী আরমানকে র্যাব-১ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এই তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক এবং র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে করা মামলা দুইটি তদন্ত করবে র্যাব। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক র্যাব-১ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তার সহযোগী আরমানকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এর আগে, গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ৬ অক্টোবর দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব।
মদ্যপ থাকায় আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।
এ অবস্থায় সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুইটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয় সম্রাটকে।
৮ অক্টোবর সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করায় সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে প্রথমে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ১২ অক্টোবর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় সম্রাটকে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহসিন আহমেদ বলেন, ‘সম্রাটের জন্য গঠিত সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সবাই তাকে দেখেছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বোর্ডের সদস্যরা মনে করেন, তার হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। তাই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।’
৯ অক্টোবর সম্রাটকে গ্রেফতার দেখানো-পূর্বক ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না বলে আদালতকে চিঠি দেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী। সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত না করায় ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী এ বিষয় শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
১৫ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন অস্ত্র মামলায় ৫ ও মাদক মামলায় ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তাকে এই দুই মামলায় গ্রেফতার দেখান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৭,২০১৯)