কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কৃষক মতিউর রহমান হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম সোমবার সকালে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ ওরফে খোকন জেলার কটিয়াদী উপজেলার করগাও ইউনিয়নের পাচলীপাড়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে। এ ছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খোকনের বাবা তৈয়বুর রহমান, দুই ভাই সম্রাট ও রোমান, একই এলাকার আশ্রাব আলী, মজিবুর রহমান ও আরব আলী। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রেলওয়েতে চাকরি দেয়ার কথা বলে মামলার আসামি পাচলি গ্রামের তৈয়বুর রহমান একই এলাকার মতিউর রহমানের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে মতিউর রহমানের বিরোধ বাধে। ২০১১ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় ভ্যানগাড়িতে করে বাড়ি যাওয়ার পথে পাচলীপাড়া এলাকায় আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মতিউর রহমানকে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন কটিয়াদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ অক্টোবর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি আবু সাঈদ ইমাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ২৮,২০১৯)