দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২০১৮-১৯ করবর্ষে সেরা করদাতা নির্বাচন হয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০১৭-১৮ করবর্ষে খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে সাকিব আল হাসানই সেরা করদাতা হয়েছিলেন।

গতবছর সেরা করদাতা হয়েছিলেন জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন কর অঞ্চল ৭-এর সাকিব আল হাসান। কর অঞ্চল ১-এর তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

জাতীয় ট্যাক্সকার্ড নীতিমালা, ২০১০ (সংশোধিত) অনুযায়ী এবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে যাচাই-বাছাই করে ৩৬টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।

জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি বা আকসুকে না জানানোয় দুই বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। তদন্তে সাহায্য করা ও নিজের ভুল স্বীকার করে নেয়ার জন্য, কমিয়ে এক বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে তাকে।

এমতাবস্থায় এবারও আয়কর রিটার্ন প্রদানে সেরা নির্বাচিত হলেন টাইগার অলরাউন্ডার। সাকিব ছাড়াও এবছর বিভিন্ন জেলা ও সিটি করপোরেশন থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে আরও ৫২১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে। মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এসব নামের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচিতদের ট্যাক্স কার্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। কার্ডপ্রাপ্তরা বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাবেন। তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেন। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন।

একই সাথে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এমনকি কার্ডপ্রাপ্তরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শয্যা সুবিধা পাবেন।

প্রসঙ্গত, আয়ের উৎস বা পেশার মধ্যে ১৩ ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, বেতনভোগী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি, হিসাববিদ, নতুন করদাতা, খেলোয়াড়, অভিনেতা/অভিনেত্রী, শিল্পী (গায়ক/গায়িকা) এবং অন্যান্য। আর কোম্পানি পর্যায়ে করা হয়েছে ১৪টি শ্রেণি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ৩১,২০১৯)