৮ ব্যাটসম্যান আর ৩ পেসার নিয়ে দল ঘোষণা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম (আগের নাম ফিরোজ শাহ কোটলা); কিংবা মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা, ব্যাঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, নাগপুর, কানপুর, ইন্দোর, রাজকোট, পুনে কিংবা চন্ডীগড়ের মোহালি-যে মাঠেই খেলা হোক না কেন, ভারতে খেলা মানেই একটু আধটু বল টার্ন করা। মানে স্পিনারদের খানিক অনুকূল ক্ষেত্র।
কিন্তু তাই বলে ভারতের মাটিতে একাদশে বাড়তি স্পিনারের অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়ে সাফল্যের আশা যে ‘নিরাশার’ সামিল! বল একটু আধটু স্পিন করলেও ভারতীয়দের স্পিন দিয়ে কাবু করা অলীক কল্পনা। কারণ প্রতিষ্ঠিত হবার আগেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা স্পিনে হাত পাকিয়ে ফেলেন। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল আর রিশাভ পান্তরা বিশ্বের যে কোনো স্পিনারকেই ঘরের মাঠে স্বচ্ছন্দে খেলেন। তাদের বিপক্ষে একগাদা স্পিনার নিয়ে খেলা তাই রীতিমত ঝুঁকির।
যতদূর জানা গেছে, আজ তাই রোহিত শর্মার ভারতের বিপক্ষে স্পিন নির্ভরতা কমিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে টিম বাংলাদেশ। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ থেকে যে দুজন বাঁহাতি স্পিনার দলের সাথে গেছেন-সেই তাইজুল আর আরাফাত সানির কেউ নেই আজ একাদশে।
ঢাকা সময় বেলা তিনটের কিছুক্ষণ পর (দিল্লিতে তখন দুপুর ২ টা ৩৫) প্রধান নির্বাচক একাদশ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, দুপুরে খাবার আগের টিম মিটিংয়ে দল চূড়ান্ত হয়েছে।
মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর দেয়া দলে নেই মোহাম্মদ মিঠুন, বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি ও দুই বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর আরাফাত সানি। ফলে সেই একাদশ থাকলে মাঠে দেখা যাবে না বাংলাদেশের কোনো বাঁহাতি স্পিনার।
তার মানে লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ব্যাটসম্যান ধরলে একাদশে ব্যাটসম্যান ৮ জন। আগেই জানা, অভিষেক হচ্ছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাইম শেখের। সাথে লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং আমিনুল বিপ্লব যোগ হলে সংখ্যা দাঁড়ায় আট জনের।
এখন সংখ্যায় বেশি রেখে লাভ নেই। আসল কথা হলো রান করতে হবে। ওপরের দিকে লিটন, নাইম, সৌম্য, মুশফিকের যে কোন দুজন রান না পেলে যত বেশি ব্যাটসম্যানই খেলানো হোক না কেন, কোনো কাজে দেবে না। ব্যাটসম্যান কোটায় দলে যারা থাকবেন, তাদের ব্যাটে রান চাই। তারা রান করতে না পারলে বোলারদের কিছুই করার থাকবে না।
ভারতীয় ব্যাটিং অনেক সমৃদ্ধ। শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে স্পেশালিস্ট স্পিনার কমিয়ে পেসার রাখা হয়েছে তিনজন-মোস্তাফিজ, শফিউল ও আল আমিন। তাহলে স্পিনার কজন?
লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব তো আছেনই। সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক আর আফিফও হয়তো বল করবেন। তারা তিন অফস্পিনার মিলে অন্তত আরও ৬ থেকে ৮ ওভার বোলিং করে দেবেন। বিপ্লবের ৪ ওভার। আর তিন ওভারের কেউ একজন মার খেলেও তখন ২০ ওভারের কোটা পূরণ করতে সমস্যা হবে না।
এভাবেই ব্যাটিংটাকে যতটা সম্ভব সমৃদ্ধ, শক্ত আর লম্বা করে একাদশ সাজানো হয়েছে। যেখানে বোলারদের ভেতরে তিন পেসারের পাশাপাশি নির্ভর করা হচ্ছে লেগি আমিনুল বিপ্লবের ওপর।
অর্থাৎ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশটা দাঁড়াচ্ছে তবে এরকম : লিটন দাস, নাইম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব,শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ০৩,২০১৯)