‘দুজনকে একাই খুন করেছি’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দুই নারীকে হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন গৃহকর্মী সুরভী আক্তার নাহিদা (৩০)। রোববার রাত ৮টার দিকে শেরেবাংলা থানা এলাকার নাক কান গলা (ইএনটি) অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ভোলার কালুপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রহিজল মিয়ার মেয়ে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও গৃহকর্মী দিতিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সুরভী আক্তার। তিনি বলেছেন, ‘স্বর্ণালঙ্কার লুট করতে দু’জনকে একাই খুন করেছি’।
একা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সুরভী জানালেও এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি-না সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। এজন্য সুরভীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ২৮ নম্বর সড়কে ২১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও গৃহকর্মী দিতির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তাদের হত্যা করা হয়। বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও কিছু টাকা লুট হয়। হত্যার পরই গৃহকর্মী সুরভী আক্তার নাহিদা পালিয়ে যায়। বাসা থেকে সংগ্রহ করা ঘটনার আগে এবং পরের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ সুরভীকে সন্দেহের তালিকায় রাখে। তাকে বাসায় ঢুকতে ও বের হতে দেখা যায় ফুটেজে।
আফরোজা বেগমের মেয়ে জানান, হত্যার দিনই বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেয় সুরভী। সুরভীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানতে পারে সুরভী বিএনপি বস্তিতে আত্মগোপনে রয়েছে। সেখানে সোর্স নিয়োগের পাশাপাশি পুলিশ গোপনে খুঁজতে থাকে। বস্তিবাসীদেরও এ বিষয়ে জানিয়ে রাখে পুলিশ। গতকাল রাত ৮টার দিকে বস্তিরবাসীরা সুরভীকে দেখে ‘খুনি খুনি’ বলে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় সে রিকশায় উঠে পালানোর চেষ্টা করে সুরভী। সে সময় নাক কান গলা (ইএনটি) অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতালের সামনে থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ০৪,২০১৯)