লবণের দাম বেশি চাইলেই ফোন করুন এই নম্বরে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘লবণের কেজি ২০০ টাকা হবে’ মঙ্গলবার সকাল থেকেই এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। ফলে অনেকেই অতিরিক্ত লবণ কিনে রাখছেন। দেশের কোথাও কোথাও বেশি দামে লবণ বিক্রিও হচ্ছে। আবার কোনো কোনো এলাকার দোকানদাররা বলছেন, দোকানে লবণই নেই।
লবণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর নাম্বার হচ্ছে: ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড ফোন), ০১৭১৫-২২৩৯৪৯, ০১৬২৪২৭৬০১২ (সেল ফোন)। লবণ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া লবনের দাম বেশি চাইলে ভোক্তারা সরাসরি এই নম্বরেও ফোন দিয়ে দেখতে পারেন।
জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র:
ফোন-০২-৫৫০১৩২১৮, ০১৭৭৭-৭৫৩৬৬৮.
এছাড়া ই-মেইল করতে পারেন, nccc@dncrp.gov.bd এই ঠিকানায়।
এর পাশাপাশি নিকটস্থ থানাকে অবহিত করতে পারেন। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণেও চেয়েও অনেক বেশি লবণ মজুদ রয়েছে। এরপরেও কোনো অসাধু ব্যবসায়ী ফায়দা লুটতে চাইলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
বড় রকমের সমস্যা দেখতে পেলে কোনো উপায় না খুঁজে পেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-য়ে ফোন করে সহায়তা নিন।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর শাহরিয়ার।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন লবণ কোম্পানির ডিলার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি চলতি নভেম্বর মাস থেকে লবণের উৎপাদন মওসুম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলায় উৎপাদিত নতুন লবণও বাজারে আসতে শুরু করেছে।
দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে লবণের মজুদ আছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে লবণের কোনো ধরণের ঘাটতি বা সংকট হবার প্রশ্নই ওঠে না।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকট রয়েছে মর্মে গুজব রটনা করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ধরণের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ১৯,২০১৯)