দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জয় কিংবা ড্র নয়, ইনিংস হার এড়ানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। সেই লক্ষ্যে এবাদত হোসেনকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন মুশফিকর রহিম। তবে সেই যাত্রায় সতীর্থের কাছ থেকে সমর্থন পেলেন না মিস্টার ডিপেন্ডেবল। শুরুতেই উমেশ যাদবের শিকার হয়ে ফিরলেন এবাদত। রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি।

শেষ খবর পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৬৩ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ৬২ ও আল-আমিন ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। দ্বিতীয় দিনের ৬ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেন টাইগাররা। মুশফিক ৫৯ ও এবাদত ০ রান নিয়ে নতুন দিনের খেলা শুরু করেন।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও একই দৃশ্যে আবির্ভুত হয় বাংলাদেশ। ইশান্ত শর্মার গতির তাণ্ডবে ১৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে তারা।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের জবাবে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এতে ২৪১ রানের লিড নেয় তারা। এর নেপথ্য কারিগর কোহলি। টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৭তম সেঞ্চুরি তুলে ১৩৬ রানে থামেন তিনি।তাকে যোগ্য সমর্থন জোগান পূজারা ও রাহানে। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। যথাক্রমে করেন ৫৫ ও ৫১ রান। বাংলাদেশের হয়ে আল-আমিন ও এবাদত নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া আবু জায়েদ শিকার করেন ২ উইকেট।

ঐতিহ্যবাহী ইডেনে গোলাপি বলে দিবারাত্রির ঐতিহাসিক টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের ৮ ব্যাটসম্যানই ২ অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ০ মারেন তিন 'ম' মুশফিক-মুমিনুল-মিঠুন। সর্বোচ্চ ২৯ করেন ওপেনার সাদামান। আর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরা লিটন করেন ২৪ রান। ভারতের হয়ে ইশান্ত শার্মা নেন সর্বাধিক ৫ উইকেট। উমেশ যাদব শিকার করেন ৩ উইকেট। আর মোহাম্মদ শামি ঝুলিতে ভরেন ২ উইকেট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২৪,২০১৯)