ইডেন টেস্টে টাইগারদের নিয়ে যা বললেন কোহলি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইডেন টেস্টে ভরাডুবি হলো টাইগারদের। ইতিহাস রচনা করল ভারত। এ যেন ইন্দোরের প্রতিচ্ছবিটাই দেখা গেল। এবারও ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারেননি মুমিনুলরা। শুধু রানের ব্যবধানটাই যা কমাতে পেরেছেন তারা।
আড়াই দিনে শেষ হওয়া পিঙ্ক টেস্টে বাংলাদেশ দলের অর্জন মুশফিকের ফিফটিই। সঙ্গে বোনাস চার ইনজুরি।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলের ডে-নাইট টেস্টে ইনিংস ও ৪৬ রানে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখল বিশ্ব।
এদিকে একতরফাভাবে টেস্ট সিরিজ জয়ের উৎসবে মেতেছে ভারত। টেস্ট র্যাং কিয়ে ১-এ থাকা দলের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারত দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।
এর ব্যাখ্যায় কোহলি প্রথমেই জানান, মুসফিক-মুমিনুলদের মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই তার।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার সাকিব ও তামিম এ সিরিজে ছিলেন না। তাদের অভাব বোধ করেছে দলটি। কারণ মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর মতো শুধু দুজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দিয়ে আপনি দলের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করতে পারেন না। এ ছাড়া দলের বাকি সব ক্রিকেটার তরুণ, তারা এখান থেকে শুধুই অভিজ্ঞতা নিয়েছে।’
টাইগারদের খারাপ খেলার যে আরেকটি বড় কারণ চিহ্নিত করলেন কোহলি তা হচ্ছে, বাংলাদেশ দলের কম টেস্ট খেলা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যত বেশি টেস্ট খেলবে ততই অভিজ্ঞ হবে। হুট করেই টেস্ট খেলা যায় না। এতে ফল আসে না। দুটি টেস্ট খেলার দেড় বছর পর ফের টেস্ট খেলতে নামলে আপনি কখনও বুঝতে পারবেন না মাঠের লড়াইয়ে চাপ কী করে মোকাবেলা করতে হয়। টেস্ট খেলার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে মুশফিকদের।’
টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দক্ষতা রয়েছে অনেক, কিন্তু শুধু দক্ষতা দিয়েই হচ্ছে না। তাদের ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণ টেস্টকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ ভালো পারফরম করছে বাংলাদেশ। নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে তারা। তবে টেস্টে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে তাদের।’
শুধু খেলোয়াড়রাই নয়, টেস্ট খেলার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে ক্রিকেট বোর্ডকেও। এমনটিই জানালেন বিরাট কোহলি।
তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেটারদের অর্থনৈতিক অবকাঠামো আরও দৃঢ় করতে হবে তাদের। ’
ভারত দলে অধিনায়ক বলেন, ‘এখন সব দেশেই টাকার জন্য ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টির দিকে বেশি ঝুঁকছে। টি-টোয়েন্টিতে চার ওভার বোলিং করে ১০ গুণ বেশি আয় করা যায়। তাই টেস্ট ক্রিকেটাররা আর্থিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিয়ে অনুধাবন করতে হবে বোর্ডকে। এটি হলেই আপনি টেস্ট ক্রিকেটে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২৫,২০১৯)