দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের মধ্যে হামলাকারী, পরিকল্পনাকারীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। আটজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা কারাবন্দি অবস্থায় বিচারের মুখোমুখি রয়েছে। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) এ মামলার রায় ঘোষণার দিন।

অভিযুক্তরা হামলায় যেভাবে অংশ নেয়
মামলার তদন্তে মোট ২১ জঙ্গির সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে পাঁচ জন এবং বিভিন্ন সময় অভিযানে আট জন নিহত হয়। জীবিত রয়েছে আট জন। এই আট আসামি হলি আর্টিজানে হামলা বাস্তবায়নে বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা ও সহযোগিতা করেছে বলে তদন্তে বলা হয়েছে। অভিযোগপত্র অনুযায়ী আট জনের হামলায় যে সম্পৃক্ততা ছিল তা নিম্নরূপ-

জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী: জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের সরবরাহকারী হিসেবে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর আদালতে ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি গুলশান হামলার আদ্যোপান্ত স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় রাজীব গান্ধী। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গাইবান্ধা জেলার বোনারপাড়া বাজারে বাইক হাসানের বাসায় তামিম চৌধুরী, মেজর (অব) জাহিদ, সরোয়ার জাহান, রায়হানুল কবির রায়হান, নুরুল ইসলাম মারজান ও শরীফুল ইসলাম খালেদের সঙ্গে বৈঠকে হলি আর্টিজানে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে রাজীব। হলি আর্টিজানে হামলার কয়েক দিন আগে বাসা ভাড়ার জন্য মারজান ও রাশেদুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা আসে। রাজীব গান্ধী দুই হামলাকারী পায়েল ও উজ্জল খালেদের হাতে টাকা তুলে দেয়। গাইবান্ধার যে এলাকায় হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে রাজীব ছিল। এছাড়া হামলার আগে হামলায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গুলশান এলাকা রেকি করে রাজীব গান্ধী। হামলার দিন তামিম চৌধুরীর নির্দেশে বিকাল ৩ টায় বসুন্ধরার বাসা ছেড়ে রূপনগরের ভাড়া বাসায় চলে যায়। রাজীবের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পশ্চিমরাঘরপুর এলাকার ভূতমারী ঘাট এলাকায়। তার বাবার নাম ওসমান গণি মণ্ডল। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করা রাজীব ২০১৫ সালে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ‘হিজরত’ করে। পরে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেছে। রাজীব বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছে।

আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে রাশ: গুলশান হামলার পরিকল্পনা সহযোগী ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে আসলাম হোসেনের। এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। তাকে ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১০ আগস্ট হামলায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তার বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন, হামলাকারীদের প্রশিক্ষণকারী জঙ্গিদের কাছে নিয়ে যাওয়া, বোম চার্জ শিক্ষা দেওয়া এবং হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্তে। হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া রোহানকে আসাদ গেটের আড়ং থেকে ২০১৫ সালে নিয়ে যায়। পরে প্রশিক্ষক জঙ্গি নেতা রিগ্যানের কাছে পৌঁছে দেয়। সদরঘাটের বুড়িগঙ্গায় হামলাকারীদের নৌকায় করে নিয়ে গ্রেনেড ছোড়া শেখায়। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে হানিফ পরিবহনে করে ঢাকায় আনে। এছাড়া হামলাকারীদের জন্য ঢাকায় বাসা ভাড়া করাসহ নানা রকম লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়। নওগাঁর মান্দা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ উচ্চ মাধ্যমিক পড়া অবস্থায়ই প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে নব্য জেএমবির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। ঢাকায় আসার পর তামিম চৌধুরী ও মারজানের সঙ্গে থেকে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তামিম ও মারজানের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই নাটোর থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে রাশেদ।

সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ: তার প্রকৃত নাম আব্দুস সবুর খাঁন ওরফে হাসান। জঙ্গি সংগঠনে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে নসরুল্লাহ নামে জঙ্গিরা তাকে চিনতো। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ২৩ জুলাই গুলশান হামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সোহেল। এ হামলায় অর্থ, অস্ত্র, বিস্ফোরক, বোমা তৈরি ও সরবরাহকারী সোহেল মাহফুজ এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিল। পরবর্তীতে মতবিরোধের কারণে নব্য জেএমবির সুরা সদস্য হয়। সুরা সদস্যরাই গুলশান হামলার পরিকল্পনা করে সোহেল মাহফুজকে হামলাকারী, অস্ত্র ও বোমা সরবরাহ করার দায়িত্ব দেয়। পরবর্তীতে সোহেল মাহফুজ ভারতে থাকা পুরাতন জঙ্গি সদস্যদের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করে ছোট মিজানকে দেয়। ছোট মিজান ও আসলাম হোসেন রাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে সোহেল মাহফুজের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সোহেল মাহফুজ ও ছোট মিজান মিলে অস্ত্র ও বিস্ফোরক শিবগঞ্জ থানার কানসাট বাজারের আমবাগানের ছোট্ট একটি ঘরে রাখে। তারা দু’জন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আসলাম হোসেন রাশের কাছে বুঝিয়ে দেয়। আসলাম সেই অস্ত্র হানিফ পরিবহনের বাসে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। পরে কল্যাণপুরে রাশের কাছে অস্ত্র বুঝিয়ে দেয়। নুরুল ইসলাম মারজান তার কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে তামিম চৌধুরীকে বুঝিয়ে দেয়। এছাড়া শেওড়াপাড়া ও যাত্রাবাড়ির বাসায় বসে গ্রেনেড তৈরি করে। ২০০২ সালে পাবনা জেলা স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া সোহেল মূলত বোমা তৈরির কারিগর। বোমা তৈরি করতে গিয়ে তার এক হাত উড়ে যায়। ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বোমা তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করতে থাকে। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো শেওড়াপাড়ার আস্তানায় বসে নিজের হাতেই তৈরি করে সোহেল। ২০১৭ সালের ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার পুস্কনি এলাকা থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয় তাকে। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ এলাকার সাদিপুর কাবলিপপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম রেজাউল করিম শেখ।

হাদীসুর রহমান সাগর: ২০১৮ সালের ২১ মার্চ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৫ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গুলশান হামলার মামলা তদন্তে হাদীসুর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে বোমা তৈরি ও অস্ত্র,বোমা সরবরাহের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুরানো জেএমবির সদস্য সাগর ২০০১ সালে জয়পুরহাট সদরের বানিয়াপাড়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করার পর থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ভারত থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আনার সবগুলো রুট জানা ছিল তার। ২০১৪ সালে নব্য জেএমবির হয়ে কাজ শুরুর পর হলি আর্টিজানে হামলার জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করে। সাগরের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের কয়রাপাড়ায়। বাবার নাম হারুন অর রশিদ। এ বছরের (২০১৮) ২১ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে গ্রেফতারের পর তাকে দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। ৫ এপ্রিল গুলশান হামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। সাগর আরেক জঙ্গি মারজানের ভগ্নিপতি।

রাকিবুল হাসান রিগ্যান: মামলার তদন্তে রাকিবুল হাসান রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম রাফি ওরফে রিপন ওরফে হাসান ওরফে অন্তরের (২০) নাম এসেছে হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে। বসুন্ধরার যে বাসা থেকে হামলার পরিকল্পনা হয় সেই বাসায় তার যাতায়াত ছিল। সেখানে হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়। বয়সে তরুণ রিগ্যান ২০১৫ সালে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ২৬ জুলাই সকালে কোচিংয়ের কথা বলে ঘর ছাড়ে। নব্য জেএমবির তরুণ প্রশিক্ষক হিসেবে গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলকারীদের ধর্মীয় ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দেয় রিগ্যান। তার বাড়ি বগুড়ার জামিলনগর এলাকায়, বাবার নাম মৃত রেজাউল করিম। ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে পালিয়ে যাওয়ার সময় রিগ্যানকে গ্রেফতার করেন সিটিটিসি’র সদস্যরা। ওই বছরের ৩ অক্টোবর হামলায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায় ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। হামলায় অংশ নেওয়া মোবাশ্বর, নিবরাস, খায়রুল, রোহান, পায়েল ও উজ্জলসহ সাতজনকে প্রশিক্ষণ দেয় রিগ্যান।

মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান: গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র, বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার সীমান্ত থেকে ঢাকায় আনার দায়িত্ব ছিল মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানের। মামলার তদন্তে উঠে এসেছে— আমের ঝুড়িতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক ঢাকায় এনে তামিম ও মারজানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতো মিজান। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর রাজধানীর দারুসসালাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ২৬ মার্চ আদালতে জবানবন্দি দেয়। পুরনো জেএমবির সদস্য বড় মিজান চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় নব্য জেএমবি’র আঞ্চলিক সংগঠক ও সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৬ মার্চ হলি আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

মামুনুর রশিদ রিপন: গুলশান হামলার পরিকল্পনা ও হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের সরবরাহকারী হিসেবে নাম এসেছে নব্য জেএমবির নেতা মামুনুর রশীদ রিপনের। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গাইবান্ধা জেলার শাখাডায় জঙ্গি সরোয়ার, মারজানা, বাশার, রায়হানের সঙ্গে হামলার পরিকল্পায় বৈঠক করে। হামলার জন্য জঙ্গি হাদিসুর রহমান সাগরের সঙ্গে একে ২২ রাইফেল, পর্যাপ্ত গুলি এবং চারটি গ্রেনেড, দুটি ৭.৬২ পিস্তল ও ১২ রাউন্ড গুলি মারজানের মাধ্যমে তামিম চৌধুরীর কাছে পৌঁছে দেয়। এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল রিপন। পরবর্তীতে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়। বাংলাদেশে এসে তামিম চৌধুরী যে কয়জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে নব্য জেএমবি গঠন করে, রিপন তাদের মধ্যে অন্যতম। রিপন এক সময় উত্তরবঙ্গের সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করতো। গুলশান হামলায় জড়িত থাকার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে একাধিক হত্যাকাণ্ডেও জড়িত। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার চৌদীঘির মারিয়া এলাকায়, বাবার নাম নাছের উদ্দিন।

শরীফুল ইসলাম খালিদ: রিপনের মতো খালিদও হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনায় সহযোগিতা, হামলা বাস্তবায়ন ও হামলাকারী সরবরাহে ভূমিকা রেখেছিল। এছাড়া হামলাকারীদের জায়গা মতো পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের অর্থ সহায়তা করে। খালিদ জঙ্গি রাজীব গান্ধীর মাধ্যমে হামলাকারী পায়েল ও শরীফুল ইসলাম ডনকে বাছাই করে। এছাড়া আগে থেকেই মোবাশ্বর, রোহান ও উজ্জল তার কাছে ছিল। তাদের সবাইকে গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেয়। খালিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সঙ্গে প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল তার। রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার শ্রীপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুল হাকিম।

এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত প্রত্যাশিত রায় দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই মামলাটির তদন্তে চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ অভিযুক্তদের পাঁচ জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বিভিন্ন অভিযানে আরও আটজন মারা যায়। তারপরও ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা আলামত, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং জীবিত জড়িতদের জবানবন্দির মাধ্যমে অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি প্রত্যাশিত রায় হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২৭,২০১৯)