সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2019/11/27/nnn.jpg)
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতীয় শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও শ্রমিক লীগের ডাকা আকস্মিক ধর্মঘটে রাজধানীর সদর ঘাট থেকে দক্ষিণ জনপদের সব গন্তব্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম ভূঁইয়া এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিআডব্লিইউটিএ-এর পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বুধবার সকাল ৮টার দিকে গ্রিনলাইনের লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া আর কোনো লঞ্চ সকাল থেকে ছাড়েনি।
সরেজমিনে সদরঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চাদঁপুর ও শরিয়তপুরের যাত্রীরা সকালে লঞ্চ টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়েছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, শ্রমিক সংগঠন কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় শত শত যাত্রী টার্মিনালে আটকা পড়েছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুর রহমান পটল জানান, আমরা এই অবৈধ সংঘঠনে ডাকা ধর্মঘট মানি না। আজ বিকেল পাঁচটা থেকে ঢাকা চাদঁপুর ও বরিশালসহ দেশের ৩৩টি নৌরুট থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করবে।
তিনি দাবি করেন, ওই সংগঠনের কোনো ভিত্তি নাই। ধর্মঘট প্রতিহত করতে নৌ-যান মালিক ও শ্রমিক ফেডারেশন ইতিমধ্যেই আলোচনায় বসেছে।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির বলেন, বেতন বৃদ্ধি করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন।
নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কার্গো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ বাল্কহেড, ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন মিলে ঐক্য পরিষদ গঠন করা হয়েছে। ১৫ দফা দাবি আদায়ে আমরা গত এক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু সরকার সেই বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করছে না। আমরা গত রাত ১২টার পর থেকে সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।
গত ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে আজ বিকেল ৫টায় সভা ডাকা হয়েছে। দাবি পূরণের আশ্বাস পেলে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করব, যোগ করেন তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২৭,২০১৯)