ট্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলকে ওয়ার্নার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম দিনই ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন ওয়ার্নার।নিজের সেই ইনিংসকে ৩০০ রানের পাহাড়সম উচ্চতায় নিয়ে গেলেন।
দিবা-রাত্রির ক্রিকেটে গোলাপি বলে এ নিয়ে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই অজি ওপেনার। প্রায় তিন বছর পর ভারতের করুন নায়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন ডেভিড।
২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন করুন নায়ার। অবশ্য ডেভিড ওয়ার্নারের আগে টেস্টের ইতিহাসে ৩০টি ট্রিপল সেঞ্চুরির ঘটনা রয়েছে। আর ৭ম অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় নাম উঠল ওয়ার্নারের।
টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলকটি করেছেন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি সান্ধাম। ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২৫ রান করেন অ্যান্ডি।
এছাড়া দুটি করে ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, ব্রায়ান লারা, ক্রিস গেইল, বিরেন্দর শেবাগের। তবে ব্রায়ান লারার অপরাজিত ৪০০ রানের ইতিহাস কেউ ছুঁতে পারেনি এখনও।
শনিবার ইনিংসের ১২০তম ওভারে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ওয়ার্নার।
ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে ডেভিড ওয়ার্নারের বল খেলেছেন মাত্র ৩৮৯টি। এতে রয়েছে ৩৭টি বাউন্ডারির মার।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮৯ রান করে ডিক্লেয়ার করেছে অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে ৩৩৫ রানই ওয়ার্নারের।
৪১৮ বলে ৩৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়ার্নার।
তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ রান করেই স্টার্কের বলে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইমাম-উল-হক। শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করছেন অধিনায়ক আজহার আলী। এখন পর্যন্ত খবর, ৬ ওভারে এক উইকেটের বিনিময়ে ৩ রান করেছে পাকিস্তান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ৩০,২০১৯)